পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নতুনেরা আসিতেছে ব’লে ; আমার বকের থেকে তবুও কি পড়িয়াছে সখ’লে কোনো এক মানুষীর তরে যেই প্রেম জালায়েছি পরোহিত হয়ে তার বকের উপরে । আমি সেই পরোহিত - সেই পরোহিত । যে-নক্ষত্র ম'রে যায়, তাহার বকের শীত লাগিতেছে অTমার শরীরে— যেই তারা জেগে আছে, তার দিকে ফিরে তুমি আছো জেগে— যে-আকাশ জনলিতেছে, তার মতো মনের আবেগে জেগে অাছো ; জানিয়াছো তুমি এক নিশ্চয়তা—হয়েছো নিশ্চয় । হয়ে যায় আকাশের তলে কতো আলো—কতো আগমনের ক্ষয় ; কতোবার বতমান হ’য়ে গেছে ব্যথিত অতীত— তবুও তোমার বদকে লাগে নাই শীত যে নক্ষত্র ঝ'রে যায় তার । যে-পথিবী জেগে অাছে, তার ঘাস—আকাশ তোমার । জীবনের সবাদ ল’য়ে জেগে আছো, তবুও মৃত্যুর ব্যথা দিতে পারো তুমি ; তোমার আকাশে তুমি উষ্ণ হয়ে আছো—তব—ে বাহিরের আকাশের শীতে নক্ষত্রের হইতেছে ক্ষয়, নক্ষত্রের মতন হৃদয় পড়িতেছে ঝ'রে— ক্লান্ত হ’য়ে–শিশিরের মত শবদ ক’রে । জানো নাকো তুমি তার সবাদ, তোমারে নিতেছে ডেকে জীবন অবাধ, জীবন অগাধ । হেমন্তের ঝড়ে আমি ঝরিব যখন, পথের পাতার মতো তুমিও তখন আমার বকের পরে শয়ে রবে ? অনেক ঘামের ঘোরে ভরিবে কি মন সেদিন তোমার । তোমার আকাশ–আলো—জীবনের ধার ক্ষীয়ে যাবে সেদিন সকল ? আমার বকের পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই, শুধু তার সবাদ তোমারে কি শান্তি দেবে ? আমি চলে যাবো—তব জীবন অগাধ చిన