পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের মনুখ দেখে কোনোদিন মাননষীর মুখ দেখে কোনোদিন । শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন । এই বোধ—শধ্যে এই সবাদ পায় সে কি অগাধ—অগাধ । পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ চায় না সে ?—করেছে শপথ দেখিবে সে মানুষের মুখ ? দেখিবে সে মানুষীর মুখ ? দেখিবে সে শিশুদের মুখ ? চোখে কালো শিরার অসুখ, কানে যেই বধিরতা আছে, যেই কু"জ—গলগল্ড মাংসে ফলিয়াছে নন্ট শসা—প"চা চালকুমড়ার ছাঁচে, যে সব হৃদয়ে ফলিয়াছে —সেই সব । অৰ পরের গান শায়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে অলস গেয়োর মতো এইখানে কাতিকের ক্ষেতে ; মাঠের ঘাসের গন্ধ বরকে তার – চোখে তার শিশিরের প্রাণ, তাহার অাসবাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান, দেহের সবাদের কথা কয় ; বিকালের অালো এসে ( হয়তো বা ) নষটক’রে দেবে তার সাধের সম চারিদিকে এখন সকাল— রোদের নরম রং শিশুর গালের মতো লাল ; মাঠের ঘাসের পরে শৈশবের ঘ্রাণ— পাড়াগাঁর পথে ক্ষান্ত উৎসবের এসেছে আহবান ! চারিদিকে নয়ে পড়ে ফলেছে ফসল, তাদের স্তনের থেকে ফোঁটা-ফোঁটা পড়িতেছে শিশিরের জল ; প্রচুর শস্যের গন্ধ থেকে-থেকে আসিতেছে ভেসে পেচা আর ইদুরের ঘাণে ভরা আমাদের ভাঁড়ারের দেশে । শরীর এলায়ে আসে এইখানে ফলন্ত ধানের মতো ক’রে, যেই রোদ একবার এসে শধে চলে যায় তাহার ঠোঁটের চুমো ধ’রে আহাদের অবসাদে ভ’রে অাসে আমার শরীর, চারিদিকে ছায়া —রোদ—খদে –কুড়ো—কাতিকের ভিড় ; চোখের সকল ক্ষধা মিটে যায় এইখানে, এখানে হতেছে স্নিগ্থ কা &&.