নরম অধীর যেন—পথ ছেড়ে দরে থেকে তখন উঠেছে কোপে প্রাণ বিয়োগের কথা ভেবে—মাথার উপরে তারা বিকেলের সোনার ভিতর হারায়েছে ; কোন দিকে ? শালের গলির ফাঁকে মাঠ ছয়ে হামাগড়ি দিয়ে উড়েছে রাত্রির পে'চা—এ-জীবন যেন দুটো মন্দ পাখা ঃ তার পরে ভর ; জীবনের এই স্তবধ ব্যবহার অভিজ্ঞতা আমরা জেনেছি পরস্পর তাই শান্তি ; শান্তি এলো মাঠে ঘাসে ডানা পাখি পালকের ছবি চোখে নিয়ে । পায়রার৷ আমাদের অভিজ্ঞতা নষ্ট হয় অন্ধকারে—তারপর পান্ডুলিপি গড়ি পুরোনো জ্ঞানের খাতা রন্ত ক্লেশ রোমহষ চুপে-চুপে করেছি সঞ্চয় অন্ধকারে ; অজন্তার ইলোরার রোম আলেকজান্দ্রিয়ার আমরা প্রহরী মিউজিয়মের ছায়া বিবণতা—চামড়া ও কাগজের বিষন্ন বিসময় এই কি জগৎ নয় আমাদের ? পথিবী কি চেয়েছিল এমন জীবন সোনালি বেগুনি মেঘে যাহা কোনো ফড়িঙের পতঙ্গের পাখিদের নয় সেই কথা চিন্তা কাজ সমারোহ স্তবধ ক'রে রাখে কেন মানুষের মন.! অই দ্যাখো পায়রারা—এশিরিয়া মিশরেও ইহাদের দেখিয়াছি আমি হাজার-হাজার শীত-বসন্তের আগে কবে দিল্লি নিনেভ বেবিলন ইহাদের দেখেছিলো—এসেছে ভোরের বেলা উত্তজবল বিশাল রোদে নামি গভীর আকাশ আরো নীল ক’রে দিয়ে গেছে ধবল ডানার ফেনা দিয়ে এই কি জীবন নয় ? আমাদের ক্লান্তি তব আরো বেশি দামী জ্ঞান নাই চিন্তা নাই –পায়রারা সেই সব প্রতীক্ষার কথা ভুলে গিয়ে একদিনও ব্যথা, আহা, পায় না কি শুধু নীল আকাশের রৌদ্র বসুকে নিয়ে ! যেন এই দেশলাই সে কতো পরোনো কথা—যেন এই জীবনের ঢের আগে অারেক জীবন ঃ তোমারে সিড়ির পথে তুলে দিয়ে অন্ধকারে যখন গেলাম চ’লে চুপে তুমিও ফেরনি পিছে –তুমিও ডাকনি আর ;–আমারও নিবিড় হল মন যেন এক দেশলাই জৰ'লে গেছে—জনলিবেই—হালভাঙা জাহাজের স্তুপে আমার এ-জীবনের বন্দরে ; তারপর শান্তি শুধু বেগনি সাগর মেঘের সোনালি চুল—আকাশ উঠেছে ভ’রে হেলিওট্রোপের মতো রাপে আমার জীবন এই ; তোমারো জীবন তাই ; এইখানে পথিবীর পর এই শান্তি মানুষের ; এই শান্তি। “ যতদিন ভালোবেসে গিয়েছি তোমারে t A. ம் సిలి
পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।