পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নদী কেন বেচে থাকে ?—একদিন এই নদী শব্দ করে হৃদয়ে বিসময়আনিতে পারে-না আর ;-মানুষের মন থেকে নদীরা হারায়-শেষ হয় । মেয়ে আমার এ ছোটো মেয়ে-সব শেষ মেয়ে এই শয়ে আছে বিছানার পাশে শয়ে থাকে—উঠে বসে—পাখির মতন কথা কয় হামাগাড়ি দিয়ে ফেরে মাঠে-মাঠে আকাশে-আকাশে । ••• ভুলে যাই ওর কথা—আমার প্রথম মেয়ে সেই । মেঘ দিয়ে ভেসে আসে যেন বলে এসে ঃ ‘বাবা তুমি ভালো আছো? ভালো আছো ? ভালোবাসো ? হাতখানি ধরি তার ঃ ধোঁয়া শুধ কাপড়ের মতো শাদা মুখখানা কেন ! “ব্যথা পাও? কবে অামি ম’রে গেছি—আজো মনে করো ? দুই হাত চুপে-চুপে নাড়ে তাই আমার চোখের পরে, আমার মুখের পরে মত মেয়ে ; আমিও তাহার মুখে দু'হাত বলাই ; r তব তার মুখ নাই –চোখ চুল নাই । তব তারে চাই আমি—তারে শধে—পথিবীতে আর কিছ নয় রক্তমাংস চোখ চুল—আমার সে-মেয়ে আমার প্রথম মেয়ে—সেই পাখি—শাদা পাখি—তারে আমি চাই ঃ সে যেন বুঝিল সব—নতুন জীবন তাই পেয়ে হঠাৎ দাঁড়ালো কাছে সেই মত মেয়ে । বলিল সে ঃ “আমারে চেয়েছ, তাই ছোট বোনটিরে— তোমার সে ছোটো-ছোটো মেয়েটিরে এসেছি ঘাসের নিচে রেখে সেখানে ছিলাম আমি অন্ধকারে এতদিন ঘুমাতে ছিলাম আমি’—ভয় পেয়ে থেমে গেল মেয়ে, বলিলাম ঃ 'আবার ঘুমাও গিয়ে— ছোট বোনটিরে তুমি দিয়ে যাও ডেকে।’ ব্যথা পেল সেই প্রাণ – খানিক দাঁড়াল চুপে—তারপর ধোঁয়া । সব তার ধোঁয়া হয়ে খসে গেল ধীরে-ধীরে তাই, শাদা চাদরের মতো বাতাসেরে জড়াল সে একবার জীবনানন্দ (১ম)—৭ ᎼᏄ