পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাছ থেকে গাছে, আর, মাঠ থেকে মাঠে রোদ শাখ মরে যার সব আলো কোন দিকে যায় ! নিজের মুখের থেকে রোদের সোনালি রেণ মাছে ফ্যালে নদী শেয রেণ মুছে ফেলে সে যেন অনেক বড়ো মেয়ে এক—চল তার মান—চল শাদা— শধ তার ফুল নিয়ে খেলিবার সাধফুলের মতন কোন, ভালোবাসা নিয়ে, * ধানের কঠিন খোসা—খড়—হিম—শুকনো সব পাপড়ির মাঝে সেই মেয়ে ইতস্তুত ব'সে আছে ; গান গায় ; নদীর-নদীর শবদ শুনি আমি । নদী, তুমি কোন কথা কও ! পৃথিবীতে থেকে - তোমার সৌন্দয চোখে তোমার সৌন্দয চোখে নিয়ে আমি চলে যাব পথিবীর থেকে ; রপে ছেনে তখনো হৃদয়ে কোনো আসে নাই ক্লান্তি—অবসাদ, তখনও সবুজ এই পথিবীরে ভালো লাগে—ভালো লাগে চাঁদ এই সর্য নক্ষত্রেরা ডালপালা ;–তখনও তোমারে কাছে ডেকে মনে হয় যেন শান্ত মালয়ের সময়দেরে পেল পাখি–দেখে জ্যোৎস্নায় মালয়ালী—নারিকেল ফুল সোনা সৌন্দয অবাধ নরম একাকী হাত—জলে ভেজা মসণ ;—‘এই রঙ সাধ কৃমি হয় – কাদা হয়—তব আহা ; চ'লে যাবো তাই মুখ ঢেকে তোমায় সৌন্দয চোখে নিয়ে আমি চলে যাবো পথিবীর থেকে তোমার শরীরে বেচে থেকে হয়তো হৃদয় ক্লান্ত হবে, তাই সব থেকে সরে যখন ঘুমাবো আমি মাটি ঘাসে- সেইখানে একদিন এসে হয়তো অজ্ঞানে তুমি মাথা নেড়ে বলিবে ঃ “আমারে ভালোবেসে ব্যথা পেল ; আমি আজো ভালো আছি—তবুও গিয়েছে, তাহা, ঝ’রে সেই প্রাণ';—হয়তো ভাবিবে এই—তব্য একবার চাপ ক’রে ভেবো দেখো সে কী ছিল—একদিন পথিবীতে তোমার আবেশে যখন আমার মন ভ'রেছিল, মনে হতো, চলিতেছি ভেসে জ্যোৎস্নার নদীতে এক রাজহাঁস রপোলি ঢেউয়ের পথ ধরে কোন, এক চাঁদের দিকে অবিরল—মনে হতো, আমি সেই পাখি ঃ তোমার মুখের রপে নিয়ে তুমি বে'চেছিলে তোমার শরীরে তাইতো মসণ তুলি হাতে ল’য়ে জীবনেরে একেছি এমন অনেক গভীর রঙে ভ’রে দিয়ে ; চেয়ে দ্যাথো ঘাসের শোভা কি ৯৯