অবিচল স্মৃতির মন্দির,
আকাশের পানে চেয়ে আজো তুমি ব’সে আছে স্থির;
নিষ্পলক যুগ্মভুরু তুলে
চেয়ে আছো অনাগত উদধির কূলে
মেঘরক্ত ময়ূখের পানে,
জ্বলিয়া যেতেছে নিত্য নিশি-অবসানে
নূতন ভাস্কর;
বেজে ওঠে অনাহত মেম্ননের স্বর
নবোদিত অরুণের সনে—
কোন্ আশা-দুরাশার ক্ষণস্থায়ী অঙ্গুলি-তাড়নে!
পিরামিড-পাষাণের মর্ম ঘেরি নেচে যায় দু-দণ্ডের রুধিরফোয়ারা—
কী এক প্রগলভ উষ্ণ উল্লাসের সাড়া!
থেমে যায় পান্থবীণা মুহূর্তে কখন;
শতাব্দীর বিরহীর মন
নিটল নিথর
সন্তরি ফিরিয়া মরে গগনের রক্ত পীত সাগরের ’পর;
বালুকার স্ফীত পারাবারে
লোল মৃগতৃষ্ণিকার দ্বারে
মিশরের অপহৃত অন্তরের লাগি’
মৌন ভিক্ষা মাগি।
খুলে যাবে কবে রুদ্ধ মায়ার দুয়ার
মুখরিত প্রাণের সঞ্চার
ধ্বনিত হইবে কবে কলহীন নীলার বেলায়—
বিচ্ছেদের নিশি জেগে আজো তাই ব’সে আছে পিরামিড হায়।
কতো আগন্তুক কাল অতিথি সভ্যতা
তোমার দুয়ারে এসে ক’য়ে যায় অসম্বৃত অন্তরের কথা,
তুলে যায় উচ্ছৃঙ্খল রুদ্র কোলাহল,
তুমি রহো নিরুত্তর—নির্বেদী—নিশ্চল
মৌন—অন্যমনা;
প্রিয়ার বক্ষের ’পরে বসি’ একা নীরবে করিছো তুমি শবের সাধনা—
১৩