অসৎপাত্রের কাছে তবে তা’রা অন্ধ বিশ্বাসে
কথা বলেছিলো ব’লে দুই হাত সতর্কে গুটায়ে
হ’য়ে ওঠে কি যে উচাটন!
কুকুরের ক্যানারির কান্নার মতন:
তাজা ন্যাকড়ার ফালি সহসা ঢুকেছে নালি ঘায়ে।
ঘরের ভিতর কেউ খোয়ারি ভাঙছে ব’লে কপাটের জং
নিরস্ত হয় না তার নিজের ক্ষয়ের ব্যবসায়ে,
আগাগোড়া গৃহকেই চৌচির করেছে বরং;
অরেঞ্জপিকোর ঘ্রাণ নরকের সরায়ের চায়ে
ক্রমেই অধিক ফিকে হ’য়ে আসে; নানারূপ জ্যামিতিক টানের ভিতরে
স্বৰ্গ মর্ত্য পাতালের কুয়াশার মতন মিলনে
একটি গভীর ছায়া জেগে ওঠে মনে;
অথবা তা’ ছায়া নয়— জীব নয় সৃষ্টির দেয়ালের ’পরে।
আপাদমস্তক আমি তার দিকে তাকায়ে রয়েছি;
গগ্যাঁর ছবির মতো— তবু গগ্যাঁর চেয়ে গুরু হাত থেকে
বেরিয়ে সে নাকচোখে ক্বচিৎ ফুটেছে টায়ে-টায়ে;
নিভে যায়— জ্ব’লে ওঠে, ছায়া, ছাই, দিব্যযোনি মনে হয় তাকে।
স্বাতিতারা শুকতারা সূর্যের ইস্কুল খুলে
সে-মানুষ নরক বা মর্ত্যে বাহাল
হ’তে গিয়ে বৃষ মেষ বৃশ্চিক সিংহের প্রাতঃকাল
ভালোবেসে নিতে যায় কন্যা মীন মিথুনের কুলে।
৯৯