পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃপ্তি পাওয়া যায় । চুরুটা জ্বালাতে-জ্বালাতে —“অবিশ্যি সে তৃপ্তি খুব ক্ষণিক রাজেন—অধিকাংশ সময়ই মনটা গুহার মত অন্ধকারের ভিতর হা করে থাকে ।” রাজেন পকেটের থেকে একটা চুরুট বের করে —“আপনাকে দেখে বডড দুঃখ করে অামার ।” কেন ?” ‘বাস্তবিক চাকরি-বাকরি পাচ্ছেন না ; একটা পয়সা নিজের বলে নাড়বার চাড়বার স্বাধীনতা নেই । বয়স হল ত্ৰিশ । অথচ অাপনি অামাদের চেয়ে কত মেধাবী ছিলেন ।” চুরুট জালাল সে । বললে সেই বাইশ বছর বয়স যদি থাকত তা হলে কম্পটিটিভ এক জাম দিতেন না ? ” ‘তা দিতাম বলে তো অবিশ্যি মনে হয় রাজেন । কিন্তু বয়স যখন ছিল তখন দিলেন না কেন ?” —‘কেউ-কেউ দেয়, কেউ-কেউ দেয় না—সকলের জীবনের পথ তো এক রকম নয় রাজেন ।” -“আমি তো খোঁজাখুঁজি করে কেরানিগিরি পেলাম—আপনারা নিজের শক্তিতে কত হাকিমি নবাবি পেতে পারতেন । কিন্তু এখন হয় তো অামাকেও ঈৰ্ষা করেন ?” চুরুট একটা টান দিল সে, বললে—“দেখুন না আপনার চেহারার দিকেই তাকিয়ে—অারশিতে মাঝে-মাঝে দেখেন ?” মাথা নেড়ে—“দেখি বই কি —“কেমন হাড়হাভাতের মতন চেহারা হয়ে গেছে আপনার ।” হাসতে-হাসতে – “সমীহ করে কথা বলতে হয় রাজেন, ইস্কুলে যে তোমাকে দু-চার দিন পড়িয়েছিলাম তাও ভুলে গেলে ! "চোয়াল বেরিয়ে গেছে—চোখ গেছে অাড়াই হাত ডেবে, কয়েক দিন পরে লোকে যদি বলে কোন ঢেকির চাল খেয়ে এ ঘাটের মড়ার রুপ হচ্ছে তোমার, তা হলে কী বলবেন ?” “ৰূপ যা-খুশি তাই হোক রাজেন—ফুসফুস তো এখনও যক্ষা প্রচার