পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—‘অঃ টৰ্চটা নিভিয়ে ফেললে যে অমল ?” —“কেন, বেশ জোৎস্নাই তো রয়েছে —- ‘না, এই জায়গাটা বডড অন্ধকার ।” —“অামি যদি টর্চ না অানতাম ।” ‘অাঃ জালো না। ” যেতে পারি ।” ‘অন্ধকারে কিসের এমন ভয়—আমি তো দিব্যি চোখ বুজে হেঁটে চলে ‘এ-সব পথে বড় সাপখোপ থাকে ।” কামড়াবে ?” —‘কামড় দিয়ে ফেললে অার কী করব ? অাবার নিভিয়ে ফেললে ?” —“মরবার খুব ভয় বুকি ?” ‘মরবার কী দরকার ভাই ?” “সিগারেটটা ফেলে দেই ; শচীনবাবু কী মনে করবেন ? ” ‘অাঃ । পাচ করে খানিকটা কাদা ছিটকে গেল যে ? ” ‘কোথায় ? দেখি —” ৩৮ —“থাক দেখতে হবে না তোমার —- —“শাড়িটা নষ্ট হয় নি তো ?’ —“সে ঘরে গিয়ে বুঝাব ।” ‘অাহা, অামার অপরাধে হল কি বোঁদি ?” —“না তোমার আর দোষ কী ঠাকুরপো—” “ঠাকুরপো আমাকে বোলো না ।” ‘তবে ? অমল বললেই কাজ চলে যায় ।” —“আস্তে ; বাড়িসুদ্ধ মানুষ আছে, [ কাণ্ডজ্ঞান ] নেই বুধি তোমার ?” ‘সকলেই তো —” —“কই, অমল চলে যাচ্ছে না কি ?” —“নাঃ, এই তেঁতুলের গাছের ছায়ায় একটু দাড়াই ।” —‘এসো এ-দিকে—” —“আমি আসব, না আমার [ কাছে তুমি ] আসবে ?”