পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০২

—‘কেন হবে না? যারা ইডিয়েট তাদের হয় না।’ —“তুমি তা হলে পাচ্ছ বেশ?' . . একটা হুমকি দিয়ে বললে—‘ব্যবসা কি চাকরি নাকি, যে বাধাধরা থাকবে ? আজ না-হয় মাসে পনেরো টাকাও না পেলাম—কিন্তু তাই বলে কাল পনেরোশো টাকা পেতে বাধা কোথায় ?” —‘তা নেই অবিশ্যি।’ — এই তো সাব-ডিভিশনে প্র্যাকটিশ করছি, এরপর সদরে যাব।’ —‘কেস 蠶 —‘কেস নিয়ে কেন ? সেখানে গিয়ে বসব, হিয়ার করব, সরকারি উকিলকে ইদুরের গর্তে পাঠিয়ে তবে ছাড়ব।" হা হা করে হেসে উঠল আবার। বিরাজ অবিশ্যি মেধাবী ছাত্র ছিল, কিন্তু এখন তার পাতলুন, বোতাম ও জামার দিকে তাকিয়ে বোধহয়, মেধার পুরস্কার সে বিশেষ কিছু পাচ্ছে না। —শিগগিরই বসছ, গিয়ে তা হলে, সদরে ? —‘কালও যেতে পারি, তিনবছর পরেও।” চুপ করে ছিলাম। —‘সদর থেকে যাব হাইকোর্টে।’ —'হাইকোর্টে যাবে? নিশ্চয়ই। বুড়ো আঙুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে—‘এই সব ডিস্ট্রিক্ট জজদের ঘাড়ে চেপে চেপে বেড়াব।' —‘কী করে ?’ — পনেরো বছরের মধ্যে উইগ মাথায় দিয়ে গিয়ে বসব; ইয় • ч э কালো গাউন পরে—হাইকোর্ট।’ ইয়া টাই ঝুলিয়ে —'হাইকোর্টে ব্যাক করবার কেউ আছে তোমার ? —ব্যাক ? স্যার রাসবিহারীর কে ছিল ? ঘাড়ের ওপর একটা হেডপিস পেয়েছি কিসের জন্য।’ খুকি বিছানায় ঘুমিয়েছিল, বিরাজের বক্তৃতার গরমে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠল। శ్యాణా অপ্রস্তুত হয়ে—‘এটি বুঝি তোমার মেয়ে ? து_ I’ আমি— বসো বিরাজ। ওকে ওর ঠাকুমার কাছে দিয়ে আসি। রান্নাঘরে খুকিকে রেখে দিয়ে এসে দেখি, বিরাজ চশমাজোড়া কপালে আটকে বাংলা খবরের কাগজটা নিয়ে বসেছে। ༧ སྨད་ལ་ཕལ་ দেখেই চোখ কপালে তুলে বললে—‘এই সব সাপ-ব্যাঙ পড়ো নাকি ? —‘কাগজটা আজ রেখেছিলাম। কেন ? কী লিখেছে।’ রাজ কাগজটা একেবারে চোখের কাছে তুলে নিয়ে বললে—লিখেছে রালোয়া —"সে কোথায় ?” — তারিখ দিয়েছে, গোয়ালিয়র থেকে।’ >のS