পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবা কোনো উত্তর দিলেন না। в д মা বললেন—’না হয় ভগবানের নাম করে সময় কাটালেই পার। কতকগুলো বই পড়ে কী লাভ।" বাবা একে-একে বইগুলো দেখছিলেন—কোনো জবাব দিলেন না। মা—না এই সব পড়বার সময় তোমার এখন ? মা চলে গেলেন। আমি— আচ্ছা তুমি যে দিনের অনেকটা সময় ভগবানের নামে কাটাও, মা কি তা জানেন না ?” বইগুলো নাড়তে-নাড়তে নীরব হয়ে রইলেন, কোনো উত্তর দিলেন না; বাবা একটা বই খুলে নিস্তব্ধ হয়ে ছিলেন—নীরবই হয়ে রইলেন। বুঝলাম, এ প্রশ্ন বড় অস্বস্তির হয়েছে। বললাম, বইগুলো কেমন মনে হয় তোমার ? —‘এইসব বইয়ের কোনো তারতম্য নেই তো। —স্টিলের থেকে একখানা উঠিয়ে আনলেই হল। —‘ভালো লাগে তোমার ?” —“আমার বেশ লাগে—’ —“বইগুলোর একটা বিশেষত্ব এই যে এগুলোর বড় একটা নোংরামি থাকে না।’ —'নোংরামি মানে ?” —মানুষের জীবনের অনেক জায়গায় নোংরা থাকে না ?’ বলে বাবা নিরুত্তর রইলেন। বুঝলাম এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে চান না। একটু চুপ থেকে বললাম—কিন্তু মানবজীবনের বিশেষ কোনো জ্ঞানও নেই এদের।” —‘সে রকম জ্ঞান তুমি নভেলিস্টদের কাছ থেকে কোথায় পাবে? —"কেন তাদের তো থাকে।’ বাবা মাথা নেড়ে—না, সে জ্ঞান উপনিষদের ঋষিদের ছাড়া আর কারো নেই।’ অবাক হয়ে চুপ করলাম; কিন্তু তর্ক করতে গেলাম না আজ আর একটুচুপ থেকে—কিন্তু উপনিষদের ঋষিরা তো মরে গেছেন কবে; সেই থেকে এ পর্যন্ত যত মানুষ এসেছে মানবজীবন সম্বন্ধে কোনো জ্ঞান নেই কারো ?’ —তা আছে নিশ্চয়ই।’ —‘কাদের ?” —‘এই ঋষিদের সাথে যাদের আত্মার মিল আছে।’ —'কারা তারা ?” —‘পৃথিবীর সব জায়গায় সব খানেই তারা জন্মায়—’ এর চেয়ে বেশি বাড়াতে গেলেন না বাবা। নভেলের কথাই পাড়লাম আবার । বললাম—এ-সব লেখকদের চরিত্রজ্ঞানও বিশেষ নেই— —‘মানবচরিত্রজ্ঞান ? >8br