পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুজনেই নিস্তব্ধ। কল্যাণী হই তুলে—‘বাবা, হাত-পা অবশ হয়ে আসছে ঘুমে। সাপে খেল, না ব্যাঙে খেল দেখতে এলাম। অলক্ষুণে মেয়ে, ওকে কারা কাটবে? সারাটা জীবন মানুষের হাড় চিবিয়ে কে খাবে তবে আর ? ঘুমের চোখে বিড় বিড় করতে-করতে চলে গেল কল্যাণী। মিনিট তিন-চারের মধ্যে সব চুপচাপ। క్గా পাশে শুয়ে বললাম—ব্যথা না কি রে?” —“কোথায় ?” পিঠের কয়েকটা জায়গা দেখিয়ে দিল। —চুলকে দেব ? মাথা নেড়ে—চুককে দাও।” আস্তে-আস্তে হাত বুলতে লাগলাম। —কিসে কামড়েছে তোমাকে খুকু? —‘পিপড়ে’ —‘কেন কামড়াল ?’ —‘সেখানে কেন গিয়েছিলে তুমি? এক পা তুলে চুলকুতে-চুলকুতে বিজ্ঞমুখে অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে রইল। —“তোমার নাম কী ?’ —'কুকুলানি’ —‘রানীও আবার?” চোখ দিয়ে বিরস ব্যথিত মন্তব্য কেটে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে হাসলাম। —‘কে রেখেছে নাম ? পরদিন রাত্রে ঝড়-জল, ভয়ানক। বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে, রাত দশটার সময় বাবা এসে বললেন—'খেয়েছিস খোকা ?” -'ॐीं।' —“তোমার মেজকাকা খেয়েছেন ?" «°ሌ