পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—নাঃ, আর পড়ে কী হবে? —তা, খুকিকে তোমার কাছে নিয়েই শোও। ওর মাকে একটু সুস্থিরে ঘুমোতে দাও।” —যাই, নিয়ে আসি। —“তোমার মা কোথায়?” —দক্ষিণের ঘরে।’ —‘কী করছেন ?? —“মেজকাকার সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন।” —'খেয়েছেন ?? —“বোধ করি খেয়েছেন—’ ”? বা কখন- ר-ארן - —‘এই বারোটা সাড়ে-বারোটা— —‘কেন ? এত রাত হবে কেন ?” —“মেজকাকা অনেক রাত অবধি গল্প করতে ভালোবাসেন।” —“তা পিসিমাই তো আছে।’ —মাকেও চাই।’ কল্যাণী—“কে?’ —“তুমি জেগে আছো ? —“বাপরে, আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম— আমার দিকে আপাদমস্তক তাকিয়ে, না-বলে-কয়ে অন্ধকারের মধ্যে, এই রকম —‘এসে তো দেখছি চোখ চেয়ে জেগে রয়েছ— —“তোমার পায়ের শব্দে তো জেগে গেলাম।” —আচ্ছা, এরপর পা টিপে-টিপে আসব।' —না, ঘরে বাতি নিবে গেলে তুমি আর আসতে পারবে না।’ —সন্ধের থেকেই তো বাতি নিবিয়ে শুয়ে থাকো। —‘এই আমার খুশি, তুমি এসো না।’ —সারারাত এত ঘুমুতে কষ্ট হয় না? —বকবক কোরো না, কাজে যাও এখন—’ —‘কী খেয়েছিলে আজ ? বালিশে মুখ গুজে দাত কপাটি হয়ে পড়ে রইল কল্যাণী। দেখলাম, কাদছে। —‘একী, কী হল তোমার আবার? —“থাক, আমার খোজ নিয়ে দরকার নেই।’ বিছানার পাশে বসতেই, কেঁদে ফুলতে-ফুলতে—“তুমি ওঠো। —‘একেবারে ঘামিয়ে গেছ যে— —তবুও কথা বলবে ? কথা বলতে বলি নি তোমাকে— O ریا\