পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—‘সন্ধ্যার থেকেই কি জেগে আছ ?” —আমাকে একটু চুপ করে থাকতে দেবে ? —‘কেন মেজকাকারা তো দক্ষিণের ঘরে খুব হইচই করছেন, শুনছ না? —“করুক। তাদের সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক?’ —‘কই, মেজকাকার খাওয়ার পাশে একদিনও তো তুমি দাড়ালে না, কল্যাণী। —“আমার দাড়ানোর কী প্রয়োজন ?’ —তিনি বললেন বউমাকে তো বড় একটা দেখা যায় না।’ —আচ্ছা, ঠোট উলটে কল্যাণী—“হয়েছে। —আমি বলেছি, তপস্যা না করলে বউমাকে দেখা যায় না।’ —“তোমার পায়ে পড়ি, কথা শুনতে ভালো লাগে না এখন আমার। —আচ্ছা, কথা কইব না আর ' iy —বসে রইলে যে?? —চুপচাপই তো বসেছিলাম। তুমি কথা জিজ্ঞেস করলে কেন ? —তুমি এখন যাও। —“কোথায় ?” —“তোমার ঘরে ? —“গিয়ে কী করব ?’ —যা খুশি তাই করো, তোমার পায়ে পড়ি, তুমি যাও। ধীরে-ধীরে তার কপাল থেকে হাত খানা সরিয়ে দিল আমার। বললাম—“তোমার কপাল তো খুব গরম। কোনো উত্তর দিল না। —আচ্ছা, বুকটা একটু দেখতে দেবে? আবার ঠোট কামড়ে কান্না। অনেকক্ষণ কান্নার পর বললে—‘মাথার থেকে হাতটা সরিয়ে নেবে ? ধীরে-ধীরে চুলের থেকে হাত তুলে নিলাম। —‘এখনো বসে আছো ? কোনো উত্তর দিলাম না। মৃদু অবরুদ্ধ কষ্ঠে—আচ্ছা এইবার যাও, অনেকক্ষণ তো বসলে। ধীরে-ধীরে কল্যাণীর বা হাতটা তুলে নিলাম। —‘কবরেজের মতো নাড়ী না দেখলে চলবে না তোমার ? —“তোমাকে ঢের জ্বালালাম কল্যাণী।’ নাড়ীর শব্দ। অন্ধকারে কাশের শব্দ। —উঠলে ?’ । —‘হ্যা’ —“বুক দেখতে চেয়েছিলে না? মাথা হেট করে—থাক্। —‘কেন? দেখো, তুমি আমার স্বামী, দেখবেই-বা না কেন? হাত ধরে বিছানার পাশে আমাকে বসালে ধীরে-ধীরে—আমি চলে যেতে বললেই כי ט\