পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

— বেশ, এখানে তুমি তো ক-দিন আছ’ —‘হ্যা।’ —উনিও আছেন ক-দিন।' একটু চুপ থেকে—"দেখাতে হলে এখানকার অবিনাশবাবুকেও তো দেখাতে পারি। মথুরবাবুও আছেন। এ তিন মাস এখানে থেকে একটু ভালোই বোধ করছি; হজমের গোলমাল তেমন হয় না, রাতেও ঘুম হয়। —সুরেশবাবুও বললেন—বেশ ঘুম হচ্ছে তার।’ —‘পেটের গোলমাল হয় মেজকাকার’ —না, তাও হয় না।’ —'খান তো মন্দ না।’ — তবে কলকাতায় যে ঢের কম খান। — কী সব ওষুধও খান বোধ করি খাবার পর ? —‘কয়েকদিন থেকে সোডা ওয়াটার আনছেন। একটু চুপ থেকে—"সোডা ওয়াটার কি শুধুই খান ? মা নিস্তব্ধ ছিলেন। জিজ্ঞেস করলাম না আর । — সোডার দামটা যেন তোমার বাবা দিয়ে দেন।” — বাকিতে আনাচ্ছেন বুঝি ? —‘হ্যা।’ খানিকক্ষণ চুপ থেকে—‘মেসে গিয়ে প্রথম দিকটা বড্ড খারাপ লাগে, মা। গিয়ে পৌছই একেবারে দুপুরবেলা, মানুষজন নেই, এমন খা খা করতে থাকে, খুকির জন্য বডড কষ্ট লাগে।” રીં...... —“তোমার কথা মনে হয়, বাবার কথা মনে হয়; অবাক হয়ে ভাবি, তোমাদের সঙ্গে কোনোদিন দেখা হবে কিনা ?” [].... — নীচে নেমে দেখি চৌবাচ্চা শূন্য; খানিকটা ঠাণ্ডা ভাত, পুয়ের চচ্চড়ি আর ট্যাংরা মাছের ঝোল দিয়ে খেয়ে, উপরে চলে এসে, পথের ধুলো-কালি-মাখা বিছানাটা পাতি। একটু ঘুমোতে চেষ্টা করি, কিন্তু সাধ্য নেই—ছটফট করে উঠে বসতে হয়। गों.... ~ —বিছানায় উঠে বসে ফুটপথের ওপাশে মস্ত তেতলা বাড়িটার দিকে তাকিয়ে থাকি—দেখি আকাশপ্রদীপ দেওয়া শিকের ওপর একটা চিল বসে আছে, কতকগুলো পাযরা; ছাদে তারের ওপর চওড়া লাল পাড়ের, কস্তা কালো পাড়ের কতকগুলো শাড়ি শুকুচ্ছে—এক ঝলক শান্ত নিরিবিলি ঘরকন্নার গন্ধ ভেসে আসে; এমন লাগে। પીં.... 4. —‘চেয়ে দেখি একজন বর্ষীয়সী মহিলা ভিজে চুলে সিন্দুর মাথায় লুচি ভাজবার বাঝরি হাতে নিয়ে চলে যাচ্ছে—কিংবা একজন তরুণী স্নান-খাওয়ার পর পান চিবুতে চিবুতে...।” गों.... న(t