পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রজমাধববাবু একটু ভেবে বললেন, ‘কেন, পঞ্চাশ টাকার চেয়ে বেশি বরাদ হতে পারে না এদের জন্যে ? পয়ত্রিশজন প্রফেসর, তিনশ পঞ্চাশ—সাতশ, ধরুন চোদশ টাকার ব্যবস্থা, করতে পারি না আমরা মাসে-মাসে এদের জন্য ওয়াজেদ আগলি সাহেব ?’ "সে রকম আণয় নেই তো কলেজের, ডেগনেশন নেই বাইরের থেকে, সরকার থেকেও বেশি কিছু সাহায্য নেই—ভাল ফাগু নেই—’ “এ সব যাতে থাকে তার ব্যবস্থা করা উচিত নয় ? ‘কে করবে ? এ নিয়ে কে মাথা ঘামাবে। সব দিকেই ঝামেলা হামলা । কারুর মনে শান্তি নেই—ঘর নেই—বাড়ি নেই—না খেয়ে মরছে, ভেসে যাচ্ছে সব—কে কণকে দেবে ? কে অণদণয় করতে বেরবে ? কণর কাছ থেকে অণদণয় করবে ? কতগুলো কণলবণজারের বজাত ছাড়া টাকা অাছে কারু কাছে ? কালবাজারের পাজিগুলো টাকা দেবে কলেজকে ? কেন, কলেজে খুব সুন্দর মেয়েমানুষ পয়দা হয় নাকি ? জনাব ওয়াজেদ আলি সাহেব সকলের মুখের দিকে তাকাতে-তাকাতে বললেন, ‘সরকারের টাকা নেই ? কাগজের টাকা নেই যে তা নয় । কোটি-কোটি বেরচ্ছে রোজ ! আরো কোট-কোটি বেরতে-বেরতে এমন হবে যে, এ সব কাগজ জ্বালিয়ে চায়ের জল গরম করবে মানুষ । এগুলোর হিম্মতে কিছুই পাওয়া যাবে না খাওয়ার, পরবণর ” ‘বেশ রং চড়িয়ে তো বললেন ওয়াজেদ আগলি সাহেব । সরকারের অবস্থা এত খারাপ নয়, সরকারের কাগজের নোট এখনও দিব্যি কথা বলে । যারা মোট রোজগার করে তারা কী রকম খাচ্ছে, পরছে, ফুর্তিলুটছে;আমাদের চেয়ে ভাল জানেন আণপনি । টাকার তেজ অগছে । তবে বেঁiণক নানা জিনিসের দিকে— ইস্কুল-কলেজের দিকে নয় । দিনকাল খারাপ হয়েছে—এ রকম তো হবেই। পরকে লুটে খাওয়া, নিজের ঘর সামলানো—এই দুটো কাজেই নিজেকে খরচ করে ফেলছে মানুষ ; কাজেই পুলিশ চাই, সৈন্য চাই। আত্মরক্ষা করবার জন্যেও—পরকে মারবার জন্যেও । কলেজে স্কুলে পড়ে, পড়িয়ে কী হবে ? সেখানে কবিতা তারিফ করতে শেখায়, আকাশে নক্ষত্রদের জন্ম-মৃত্যুআলোকবর্ষের ইতিহাস জানিয়ে দেয় মাস্টাররা । এ সব শিখে জেনে যা পৃথিবীর সকলেই চাইছে সেই সবের উপরে আমিকে, সব দেশের উপরে >O○