পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*গার্জেনদের তো ?’ এ রকম প্রশ্নের জবাব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন স্বীকার করলেন না ব্ৰজমাধব । কিন্তু তবুও হরিলাল বড় বোয়ালমাছের মত তাকিয়ে আছে যেন, পুকুরের নরম মাটির কিনারা-ঘেঁষা কোনো কচি কেঁচে দেখে ফেলেছে যেন মনে হচ্ছিল ব্রজমাধবের । তাই বটে কি ? তাই বটে হরিলাল ? *ই্য গার্জেনদের রিপ্রেজেনটেটিভ হয়ে এসেছি আগমি । কী হল তাতে ? *না, হয় নি কিছু—এর পরের কলেজ কমিটির ইলেকশনে— ত্র জমাধববাবু, হরিলালের মুখের কথা মুখেই রয়ে গেল দেখে, গলা খাকরে নিয়ে বললেন, ‘অভিভাবকদের প্রতিনিধি হয়ে আমি দাড়াব ইলেকশনে— কলেজ কমিট আমি ছাড়ছি না, যতদিন আপনি আগছেন, আমি ও অাছি হরিলালবাবু’ । হরিলালবাবু হেসে ফেললেন । জানে না যে কার সঙ্গে কে দেয়ালা করতে চাচ্ছে । হাতের চুরুটটা নিভে গিয়েছিল, দেশলাই কাঠি জালিয়ে চুরুটের মুখ লাল করে নিচ্ছিলেন, হাসছিলেন। কেউ কিছু বলছিল না কোনো দিক থেকে । হরিলালবাবুর হয়ে দুটো কথা বলা উচিত নয় কি কারো ? কালীশঙ্করবাবুও ঘাপট মেরে চুপ করে আছেন, যেন তার পঞ্চাশ টাকা এমনি-এমনি আদর করে বাড়িয়ে দেওয়া হল, কালীবাবু, হরিলালের নাতজামাই বলে । ‘আপনি বড় তিরিক্ষে হয়ে উঠছেন ব্রজমাধববাবু?—ওয়াজেদ আলি বললেন । ব্র জমাধববাবুকে এখন এ কথা বলার জন্য যেন বায়ন দিয়ে রাখা হয়েছিল ওয়াজেদ আলিকে—প্রিন্সিপাল সকলের অজান্তে বাইরে শূন্যের দিকে চোখ দিয়ে গণটা মেরে ভাবছিলেন । ‘বডড বেঁকে আছেন ব্রজবাবু ; ওটা হেলদি অপোজিশনের হতে হয়। নাহলে চুম্বিকাঠি কে দেবে ? কোথায় পাবে ? চিপটেন কেটে বললে হিমাংশু চক্রবর্তী । পথে এসে দাদারা—ভাবছিলেন হরিলাল, কই, অন্তিম দত্ত, বঙ্কিম দত্ত কিছু বলছেন না যে । কেউ কিছু বলবার আগে ব্ৰ জমাধববাবু বললেন, ‘কলেজ ফাণ্ডে কত টাকা অগছে ?” >>O