পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“অত কাছে ঘেঁষে বসবেন না ব্রজমাধবববাবুর। ওর মুখের লালা কুকুরের লালা হয়ে গেছে, আলি সাহেব । লাগিয়ে দিলে জলাতঙ্কে বিশ্বসংসার ঘুরেও জল তেষ্টার এক ফোটা জল পাবেন না। এ কুকুর কি এখনও গভর্নিং বডির মেম্বার থাকবে ? হিমাংশু চক্রবর্তী জিজ্ঞেস করল হরিলালবাবুকে । ‘সে জানে সরমার বাচ্চাকে যারা পাঠিয়েছে তারা— ওয়াজেদ আলি সাহেব একটু বিচলিত হয়ে বললেন, ‘এ-রকম কথা বলছেন কেন আপনারা ? কথাগুলো ভাল হচ্ছে না। এত গলাগলিতেও মোক্ষম হাড়ে বাতাস লাগিয়ে বসে আছেন ব্রজমাধববাবু?—ওয়াজেদ আলি ব্রজমাধববাবুর পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন— "নিশীথ সেন বলেছে যে সোয়া দুশ-আড়াইশ টাকা’মাইনে না-দিলে কলেজে কাজ করবে না সে । দেড়শ পাচ্ছে, দশ টাকা বড়িানোও সম্ভব নয় আমাদের পক্ষে । নিশীথবাবু মাইনে বাড়বার কোন সম্ভাবনা না দেখে এক মাসের ' ছুটির দরখাস্ত করেছে। কিসের জন্যে ছুটি চাচ্ছে সেটা দরখাস্তে খুলে জানায় । নি, কোনো ডাক্তারের সার্টিফিকেটও দেয় নি, ক্লাশ নিচ্ছে না, ঘুরে বেড়াচ্ছে' ' —হরিলালবাবু বললেন । ‘দরখাস্ত কি মঞ্জুর হয়েছে ?

  • ন’ ।

‘মঞ্জুর যে হয় নি তা কি সে জানে ? ‘সে তো কলেজেই আসে না, কে জানাবে তাকে ? ‘কী মতলব নিশীথ সেনের ?’ আগলি সাহেব বললেন । ‘কে জানে । কলেজে কণজ করবে না হয় তো আণর । আমরা তার দরখাস্ত ছিড়ে ফেলেছি—’ ‘কেন ? ঘাড় ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন ব্ৰজৰ্মাধববাবু। ‘ও-রকমভাবে কে কবে দরখাস্ত দেয় ? সমস্ত ব্যাপারটা পরিষ্কার না করে । বোকার মত দরখাস্ত লিখলে—অন্তত ডাক্তারের সাটিফিকেট না দিয়ে সেটা । পেশ করবার মানে কী ? ‘তাই বলে দরখাস্ত ছিড়ে ফেলবেন আপনি ! মামুলি দরখাস্ত করেছে, কী তার মানে, সেটা আপনার বোধগম্য হয়েছে কি না, কমিটিকে না দেখিয়ে কী করে ঠিক করবেন তা ? সেটা কমিটিতে পেশ করতে হবে। কমিটি বিচার S S6.