পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাবে I* “কিন্তু এ রববার তো এখানে থাকা হবে না আমার—'

  • কেন ?" ‘শুকুরবার ঢাকা যাচ্ছি। দিন সাতেক থাকব। ফিরে আসতে শুকুর-শনি হয়ে যাবে । এর পরের রববার মিটিং করলে হয় না ?’ ‘সব ঠিক হয়ে গেছে তো । কালেক্টর সাহেব তার বাংলোতেই মিটিং বসাৰেন বলে দিয়েছেন । এ রববারের পরের রববারে তো তিনি থাকবেন না জলপাইহাটিতে । ওঁর তো মোটেও ফুরসুৎ নেই—মোটেই পাওয়া যায় না মকবুল চৌধুরী সাহেবকে । ওঁকে বাদ দিয়ে—’ 'না, না, সাহেবকে বাদ দিয়ে হয় কি ? থাকেন তো না বেশি মিটিঙে । যখন নিজে রাজি হয়েছেন নিজের বাংলোতে, আচ্ছা দেখি আমি, দু দিন পিছিয়ে ঢাকায় গেলে চলে কি না, অণচ্ছা দেখি—

সবাইকে আদব জানিয়ে, হেসে, ছাই বেশ জমে উঠেছে চুরুটে দেখতে-দেখতে, বেরিয়ে গেলেন ওয়াজেদ আগলি সাহেব । নিশীথ বিকেলের স্টিমারে কলকাতায় রওনা হয়ে গেছে সেই রাতেই । সাড়ে দশটা এগারোটর সময় হরীত অস্তে-অণস্তে এসে নিজেদের জলপাইহাটির বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিয়ে দু-চারবণর অণলগেছে কড়া নেডে অপেক্ষা করতে লাগল । ‘কে ? কড়া নাড়ছে কে ? ভিতর থেকে বলল সুমন । ‘আমি, খুলে দাও । সে কথা কানে গেল না সুমনার। বললেন, 'মানুষ বিদেশে চলে গেল, আর রাত ছুপুরে এসে দরজায় কড়া-নাড়—কে তুমি ? ‘আমি । খুলে দাও না দরজা । “আণমি কে রে ? ‘আমি হরীত । কী বলছে পরিষ্কার শুনতে না পেয়ে সুমন বললেন, ‘হারীতের গলা পাচ্ছি না? হণরণীত এসেছে না কি ? কে রে বাইরে—হারীত না কি ?’ বলতে-ৰলতে দরজা >>●