পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

...ఒ...మోన్జాrFFEF; খুলে দিলেন সুমনা । ‘বাপ রে, এ যে হরীত । কোথেকে এলি তুই ? ‘বাবণ বাড়ি অণছেন ?? ‘এই তো চলে গেলেন আজ ।” ‘কোথায় ?” ‘কলকাতায় । অনেক চিন্তা মাথায় নিয়ে চলে গেলেন আজ ।” ‘কেন, কলকাতায় কেন ? কিছু খণবণর আগছে ? কিছু নেই’—সুমন অসহায়ের মত চারদিকে তাকিয়ে বললেন । ‘কিছু না ? ‘ন । খুব ক্ষিদে পেয়েছে কি তোর ? অামি মহিমবাবুদের ওখান থেকে কিছু— ‘না না, সে-রকম ক্ষিদে-টিদে পায়নি কিছু । ওদের ঘুম ভাঙাবার দরকার নেই । এ-রকম চেহারা হয়ে গেছে কেন তোমার ? অম্ৰাণ-পৌষ মাসের দিঘির জলের উপর দিয়ে তরতর করে হেঁটে যায় যে এক রকম বড়-বড় মাকড়সা, হাত-পা সব অণশের মত, এত ফিনফিনে সেই মাকড়গুলো যে মনে হয় এদের পণয়ের নীচের জল মলিদণর মত পুরু, ভারী, সেই মাকড়সা হয়ে গেলে তো তুমি মা’ —বলে হরীত সুমনার কাধে হাত রেখে বিছানার উপর বসিয়ে দিল তাকে, নিজে বসল, বসে মায়ের বুকে মুখ গুজে রাখল । আস্তে-আগস্তে ছেলের মাথাটা সরিয়ে দিলেন সুমনা । বললেন, ‘কেমন ধড়ফড় করছে আমার শরীর । ছেলেমেয়েদের দেখলে, তাদের কথা ভগবতে গেলে, কেমন হয়ে যায় যেন সব—হার্টে গিয়ে লাগে ।” ‘তোমাকে এ অবস্থায় ফেলে কলকাতায় গেলেন বাবা ?’ ‘তুমি তো এসেছ । ‘অামার তো অণসীর কথা ছিল না ।” ‘বাবা চলে গেলেন, তুমিও এলে ; কোথায় ছিলে তুমি হরীত ; জলপাইহণটিতে ?” ‘এই তো আজ জলপাইহাটতে এলুম। এতদিন কলকাতায় ছিলুম। ‘কলকাতায় ছিলে ?” ‘এই তো আজ এলুম।” ‘সত্যি কলকাতায় ছিলি তুই ? এমন টাইম ঠিক করে এলি কী করে ? উনি SSb