পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতা আর বাতাসের আকাশের ফঁাকে কেমন যে জ্বলজ্বলন্ত প্রাণের হলুদ–ওরকম হলুদ হয়ে চোতমাসের বৃহৎ বাতাসের ভিতরে নিজের শরীরকে পালকরণিত প্রাণের আধার বলে অনুভব করে নিতে পারত যদি মানুষ। উড়ে চলে যেত যেদিকে ইচ্ছা— ‘না আগসেন যদি ? ‘তা হলে –আচনি৷ হারাতের মুখের দিকে তাকিয়ে না-তাকিয়ে বললে, “কঁঠাল পিটিয়ে পাকা করবার ভার তো আমার উপর নয়, সে তোমার মার উপর, বলে অচনা ঠোটে র্দীতে হাসি মাখিয়ে একটু হাসতেই বুজে এল হাসি । ‘তার মানে ?" ‘কলকাতায় যে গেছে তাকে চিঠি লিখে টেনে আনিব কেন আমি ? ‘কেন কলকাতায় কে উজিরি পেতে গেছেন ? হারীত হেসে বললে, “এখানে ঘরদোরে নাজিরি ভাল ছিল না ? ‘এই ম}—পাখিট। উড়ে গেল’, জামরুলের গাছের দিকে তাকিয়ে বললে আচনি । ‘কী বলতে চাও তুমি ? ঘাড় ফিরিয়ে হারাতের মুখের দিকে চেয়ে আচনা বললে, ‘কিসের উজিরি হরীত ? নাজিরি কিসের ? ‘আমার কথার মানে ধরা গেল না বুঝি ? ধরা গেছে হরিণীতের কথার মানে, কি বা ধরা যায় নি, কী যে হয়েছে ধরা না দিয়ে আচনি পড়ন্ত বেলার দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে উঠি-উঠি করবে কি না ভাবছিল । উঠল না, বসে রইল সে । সুলেখাদের ওখানে যাবে ? ‘হঁ্যা । কবে যাবে ? হরীত বললে । ‘কে । আমি ? আমার যাবণর কথা নেই তো ' ‘কেন, ওরা আগমণকে নিমন্ত্রণ করে নি তো । বিনে নিমন্ত্রণেই যাব দু জনে । জলপাইহাটতে এসেছি । চারদিকে একটু ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করে।’ ‘বেশ তো, বেড়াও 1’

  • এক ? এক ?’ “এক দরকার হলে একা । সঙ্গী পেলে তাই-ই সই। এই তো ছিল ওঁর হাল— *ওঁর কার ? মহিমবাবুর ?

না, নিশীথবাবুর ' ఏ8న