পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঝেড়ে নিচ্ছিল । ‘না বিজোড় হবে কেন ? এখানে মশাটশা আছে ?” ‘আগছে ।" ‘মশারি আপনি নি তো—’ ‘তা হলে ওপরে চলে । রণতে বেশ বাতাস খেলে সেখানে । মশারি না টানালেও চলে ।” নিশীথ খাটের ওপর তোশক পেতে ফেলেছিল—একটা বালিশ খাটের এক কিনগরে লক্ষ্যহীনভাবে ছুড়ে ফেলে দিয়ে জিতেন দাশগুপ্তকে আগশ্বস্ত করতে-করতে বললে, “মশা তো অণর বাঘ নয়, কলকাতা তো আর রণয়গঞ্জ লক্ষণকাটি নয়, কটা মশাই-বা ফু ফু করবে, উড়বে এখানে । আমরা পদ্মার পারের দেশ থেকে এসেছি । পদ্মার ওপরে ফেলে এসেছি যে-সব, কলকাতায় সে-রকম জানোয়ার থাকে না ’ বলতে-বলতে একটা সাদা পাতলা গণয়ের চাদর বেশ করে একটু ঝেড়ে, প্রজাপতির মত ছোট সাদা পোকার মরা ডানা ও ডানার গুড়ি, উড়িয়ে নিশীথ বললে, ‘কাল তোমাকে সকালেই অফিসে যেতে হবে ?’ ‘ইণি, সাতটার সময় । উঠতে হবে পাচটায় । দাড়ি কামিয়ে ল্যাট্রিন সেরে চান করে কফি, আলুভাজা আর ডিমসেদ্ধ খেয়ে বেরিয়ে যেতে হবে— কফি আলুভাজা আর ডিমসেদ্ধ। ল্যাট্রিন সেরে । কী সব কথা জিতেন দাশগুপ্তের মুখে । এ-রকম ধরনের কথা, একটা আত্মতুষ্টি জিতেনের নাকে চোখে ; এসব কী দেখেছ শুনেছে আগে নিশীথ যখন জিতেনের এখানে আসত : কফি আলুভাজা আর ডিমসেদ্ধ ? ‘ईr ।।' ‘রোজ ।”

  • ই্যা । যেদিনই সকাল-সকণল অফিস থাকে—’ ‘রোজই আলুভাজা কেন দাশগুপ্ত সাহেব ? রোজই ডিমসেদ্ধ ?

“আণমার ভাল লাগে ।” ঢং করে একটা শবদ হল । পাশের কণমরণীয় বড় ঘড়ি আগছে । দেড়টা। বেজেছে হয়ত । নিশীথ এক-আধটা মশা টের পাচ্ছিল । পাতলা চাদরট} গায়ে জড়িয়ে নিলেই চলবে । বিশেষ ঘুম হবে না আজ রাতে । কাল, 8