পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘জিতেন ' ‘কী খবর ? জামসেদপুর থেকে দিল্লি চলে যাচ্ছে জিতেন, দশ-পনের দিনের জন্য । আপনাকে থাকতে বলেছে এখানে । জিতেন ফিরে না আসা পর্যন্ত কোথাও যেতে নিষেধ করেছে।’ ‘কেন যাচ্ছে দিল্লি ?’ ব্যবসায়ের দরকারে । ‘নিজের ব্যবসায়ের কাজে, না অফিসের ? "গ্র্যগহাম অ্যাণ্ড গ্র্যগহাম তে| জিতেনের নিজের জিনিস হয়ে যাচ্ছে ।" নিশীথ ভারী আশ্চর্য, কেমন আলোড়িত বোধ করে বলল, ‘সত্যি ? কই শুনি নি তো ! বলে নি তো কোনো দিন আগমণকে জিতেন ।" বিশেষ উৎসাহ বোধ না করে নমিতা বলল, “বলবার সময় পায় নি। গ্রাহীম অ্যাণ্ড গ্র্যগহাম তো ওর নিজের—' ‘কেন ? সাহেব পার্টনাররা কোথায় গেল ?’ ‘বিলেত চলে যাচ্ছে গুডউইল বিক্রি করে দিয়ে ।” ‘এক জিতেনকে ?’ "জিতেনকে । হানিফ এসে চায়ের পেয়ালা, ডিস, সরঞ্জামগুলো সরিয়ে নিয়ে গেল সব । চী খাওয়া হয়ে গেছে । নমি তা দুপুরে এ বাড়িতে খাবে, না অন্য কোথাও, জিজ্ঞেস করল হানিফ । ‘হানিফ, তুমি জুলফিকারকে ফোন করে দাও যে আমি আজ দুপুরে পার্কসার্কাসে যাব । একট-দেড়টার সময় যাব । "বহুৎ আচ্ছা হুজুর ' ফোনটা নমিতার হাতের কাছেই ছিল, ইচ্ছে করলে নিজেই করতে পারত কিন্তু কেন যেন গড়িমসি করে উদাসভাবে ঘরবারের দিকে তাকিয়ে পিছিয়ে রইল সে । হানিফ রিসিভার ধরে দাড়িয়েছিল ; কানেকশন হয় নি এখনো । ‘হানিফ, জুলফিকার যদি জিজ্ঞেস করে, তুমি ফোন করছ কেন, মেমসাহেব বাড়িতে নেই নাকি । তা হলে বলে দিও যে মেমসাহেব বেরিয়ে গেছেন ।” "বহুৎ আচ্ছ হুজুর !' २o8