পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“যদি জিজ্ঞেস করে যে বাডিতে অগর-কেউ আছে কি না, তবে বলে দিও যে সেনসাহেব অগছেন, মেমসাহেব কোথায় অাছেন, কী বলেছেন, না বলেছেন, সব জানেন সেনসাহেব । জুলফিকার সাহেব যদি চান সেনসাহেবকে ডেকে দিতে পার হানিফ, —বলো ।” "বহুৎ আচ্ছা হুজুর ' জুলফিকার ডাকল না কাউকে । হানিফ ফোন করে চলে গেল । —‘হানিফকে দিয়ে ফোন করালেন কেন ? ‘আমি ফেণনে গেলে কথায় কথা বেড়ে যেত ঢের জুলফিকারের l' ‘ভালই তো হত ।” ‘যাচ্ছিই তো পার্কসার্কাসে ।” অণটটণর সময়ে চা খাওয়া শেষ হয়ে গেল । নিশীথ উঠে গেল, চান করে বেরিয়ে পড়তে হবে । নমিত নিজের ঘরে ঘুমোতে গেল । এগারটাবারটার সময় ঘুমের থেকে উঠে স্নান করে পার্কসার্ক্যসে চলে যাবে । নিশীথ বাথরুমে চলে গেলে হানিফকে ডাকল নমিতা, বললে, সে ঘুমোতে যাচ্ছে, বারটায় ও যদি না জাগে তা হলে হানিফ তাকে জাগিয়ে দিয়ে যায় যেন । জাগিয়ে দিয়ে যাবে ? কিন্তু কাপড়-জামা খুলে ফেলে শুয়ে পড়বে তো নমিত । অন্দরের দিকের দরজা-জপনলা সব বন্ধ করে, বাইরের দিকের জগনলাগুলোর উপর পর্দা টেনে দিয়ে ফান খুলে ঘুমিয়ে পড়বে সে, খুবই হু শিয়ারি আছে তার ; নানা জায়গায় নানা রকম কাজকর্ম তত্ত্ব-তদারক তদ্বির-অণমন্ত্রণ থাকে তার ; এখান থেকে ওখানে—ওখান থেকে সেখানে যাওয়ার ফঁাকে-ফাকে মাঝে-মাঝে ঘুমিয়ে নেয় সে ; কিন্তু বেকুবের মত ঘুমোয় না, সব জায়গাতেই সময় মত হাজির হয় গিয়ে । নিশীথের সঙ্গে কথা বলে সারণটা রণতই আজি জেগে কাটিয়ে দিল । নমিতার এখন ঘুম পেয়েছে, ঘড়িতে আটটা বেজে দশ মিনিট—সাড়ে এগারটার সময় কিংবা মিনিট পনের-কুড়ি আগে বা দশ-পনের মিনিট পিছিয়ে জেগে উঠবে সে এই সংকল্প নিয়ে ঘুমোতে গেল । নিতান্তই যদি না-জাগে, হানিফ কলিং বেল টিপবে নীচের তলার থেকে—বেজে উঠবে তার ঘরের ভিতর ; হানিফ সাড়ে এগারটার অ্যালার্ম ঠিক করে গেছে বিছানার কাছে তেপয়ের উপর ঘড়িটাতে, বেজে উঠবে ; এতেও না জাগলে দরজায় ধাক্কা দেবে হানিফ । খুব জোরে কড়া নাড়বে, দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়বার RO6