পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ৰই লিখছেন বুঝি ? ঘোষ সাহেব কোনো বই লিখলেন না এটা আমাদের অনেক দিনের আফশেষ । লিখুন, দু-একটা বই লিখুন উনি । ও'র লেখার সময় এসে পড়লুম।" নিশীথ সোফা থেকে উঠবার আগেই মোহিত বলে ওঠেন, ‘বসুন, ঠিক আছে । বেলগাছিয়ার থেকে বালিগঞ্জ এসেছেন প্রফেসরের সঙ্গে দেখা করতে । তা নাদেখা করে চলে যাওয়াটা ঠিক হবে না । অন্য কোনো কাজ ছিল আপনার এ পাড়ায় ? নিশীথ মাথা নেড়ে বললে, ‘অন্য কাজ কী থাকবে আর এ পাড়ায়, এই একটা “কাজই তো একশখানা ।” ‘তা হলে ? উঠবেন না অণপনি । ও-কে বলছি আমি ।’

  • আচ্ছা—বসছি অমি—তবে—’ ‘ভিতরে দু জন লোক আছেন তারা চলে গেলেই আপনার কথা জানাব ।’ SBBS BDBB BBBS BBBB BBB BBB BBBB BBBBB Kgm চাপা দিয়ে ৰললে, ‘লিখুন, বই লিখুন প্রফেসর । ওর এক-আধখানা বই অনেক আগেই প্রতাপশ করেছিলাম আমরা । তবে এই বয়সের লেখা আরো ভাল হবে । সমস্ত জীবনের বি েদ্য অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা তো ।” ‘বিদ্যে কি জ্ঞান ? মোহিতা জিজ্ঞেস করে । ‘বিদ্বান মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের জন্ম হয় ।

“সৰ সময়েই হয় ? ‘না তা হয় না । জ্ঞান বিদ্যের চেয়ে ঢের বড় জিনিস বলেই জানি । হৃদয়ে জ্ঞানের কোনো অবস্থান না থাকলে মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো কেমন যেন অচল হয়ে পড়ে থাকে অদ্ভূত মূল্যনাশের ভিতর।’ ‘শুধু ৰিদে থাকলেই হয় না বলছেন তো ? ‘কী হয় না ? নিশীথ একটু আগ্রহভরেই জিজ্ঞেস করে মোহি তাকে । জিনিসের ঠিক মূল্য বোঝা যায় না । 'না, তা বুঝতে বিদের কী দরকার ? “বিদ্যের চেয়ে ৰেশি কিছুর তো দরকার।’ ‘সেইটেই ৰলেছি আমি, তাকে আমি জ্ঞান বলেছি, বলে নিশীথ বললে, “কেমন বিমূঢ়ের মত কথা বলছি অগমি ।’