পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“তোমায় বসতেই হবে।' ‘এখন তোমার বই পড়ার সময় ।” ‘আমি এবীর বি-এ এগজামিন দিচ্ছি না ।” সে সব বই নয়, বাইরের বই পড়বে তো তুমি এখন— ‘আমি রুটিন করে পড়ি বুঝি হরীত ? এটা আমার পড়বার সময় কে বললে তোমাকে ?’ হারীত বাইরের বাতাসের বড় সাড়া শুনছিল, অনেক পাতার গুচ্ছে অনেক পাখির ডানার পালকে, নীচে, দিকে-দিকে জলের রাশির ভেতরে, পৃথিবীর টনক নাড়িয়ে আঘাত করছে, বাতাস যেন নীলিমার বুকে গিয়ে ফেটে পড়ছে দক্ষিণ পূর্ব উত্তর বাতাসের আনন্দে, পৃথিবীরই জননীনিকুঞ্জের ভেতরে আগবণর । ‘তোমার সানগ্লাসটা আমাকে একটু দাও তো । ‘কেন, এটা চোখে এঁটে খা-খী রেীদের মধ্যে বেরিয়ে পড়বে তো ? 'না, আমি এখানেই রয়েছি । বাইরের কড়া রোদের দিকে তাকিয়ে চোখ কেমন পাধিয়ে উঠছে । সাদা-সাদা বড় মেঘগুলোও কী ভীষণ জ্বলন্ত কাচের মত উজ্জ্বল ।” এদের পেছনে সূর্য রয়েছে । ‘ভারী চমৎকার দেখাচ্ছে কিন্তু মেঘগুলোকে । যেন ভেঙে গেছে সুয্যি ; রাশিরাশি সাদা মেঘে জ্বল-জ্বল করে বেড়াচ্ছে । আমাদের ছেলেবেলায় দেখেছি এ রকম । আমাদের মৃত্যু হয়ে গেলেও থাকে ওরা । দেশ থেকে দেশ চলে যায় ; কেমন অতিমানবের মত মনে হয় যেন সব । আমরা ওদের মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়ে আমরাই মিথো হয়ে উড়ে যাই ; ওরা টিকে থাকে কী রকম স্বচ্ছ আগুনের অন্তঃশীল আনন্দে । সুলেখা ভৎসিনার সুরে হেসে উঠে বললে, “এ কেমন স্ট্যালিনের মত কথা হল : ‘স্ট্যালিন ? এ কেমন বুখারিনের মত কথা বললে তুমি হরীত ? নিজেকে শুধরে নিয়ে সুলেখা বললে । ‘বুখারিনের মত ? কথাটা বলেছি হোরেন্ডের নিজের মত, নিশীথ সেনের মত, লুক্রেসিয়সের মত ; এরা বুখারিনদের এলাকার বাইরে । সে যা হোক, 5 אס