পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাস্টারদের পথে ছেড়ে দিল—সরকারি আই-সি-এস থেকে পিওন আদি যারা রক্ত জল করে পুষছে, বেসরকারি ইস্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠানের দিকে ফিরেও তাকণচ্ছে না, তারা কি পায়ের পাতায় ভর দিয়ে দাড়িয়ে অাছে ? সেটা তারা জুতো না খুললে কী করে বোঝা যাবে সুলেখা ? সুলেখাদের ওখান থেকে ফিরে হরীত বাড়ি পৌছাল প্রায় চারটের সময় । সুমনা বললে, ‘কোথায় ছিলে এতক্ষণ, সেই তো সাত-সকালে বেরিয়েছ।’ *কত রকম কাজ থাকে ।' ‘কাজ থাকে ! নাওয়া নেই, খাওয়া নেই— ‘চণন করে বেরিয়েছি তো । ক্ষিদে পায় না, খাব কী ? ‘তোমার ক্ষিদে পায় না, আমার তো পায় । কী রোগ হয়েছে তোমার যে ক্ষিধে পায় না ?’ ‘তুমি খেয়েছ ? কী খেয়েছ মা ? রণধল কে ? ‘কী রোগ হয়েছে তোমার, হরীত, যে বেলা চণরটে না বাজলে ক্ষিধে পাবে না । এতে মানুষ বঁাচে ? সুমন অপ্রীত হয়ে বললে, ‘এখন ভাত খেলে রাতের বেলা ক-টণর সময় খাবে ? ‘রণতে খাব না ।" সারা দিন রাতে শুধু এক বার খেয়ে বেঁচে থাকবে তুমি ? এই করতে তুমি কলকাতায় ? ‘অণজ শরীরটা কেমন লাগছে তোমার ? অণগের চেয়ে ভাল লাগছে ? সুমন বললে, ‘আমি যা জিজ্ঞেস করলাম সে কথার উত্তর দিলে কোথায় ? এক বণর করে খণচছ কেন ? এখন কি তোমার রমজান মাস চলছে হরীত ? কলকাতায় এ রকম ছিল ? কী ব্যাপার ?’ ব্যাপার কিছু নয়’, হরীত তার বাবার পুরনো চেয়ারটা টেনে বসে বললে, ‘অগমণর ক্ষিধে পায় না । পেলে খাব ? ‘ক্ষিধে পায় না । এ তো বিষম রোগ । কেন ক্ষিধে পায় না ? সোমত্ত বয়স তো তোমার, এ. বয়সে ক্ষিধে পায় না ? তোমারও কি ন্যাব হল নাকি হারীত ? দেখিয়েছিলে ডাক্তারকে ?’ \5ტჯ,