পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হল, আমিই তো রক্ত দিতে চেয়েছিলাম, ডাক্তার মজুমদার আমাকে দেখেশুনে বললেন : আপনি যদি রক্ত দেন আপনাকে রক্ত দেবে কে নিশীথবাবু ? প্রাণাচার্য অমিয়রতন চট্টখণ্ডী ভালমানুষ—সুস্থ মানুষ—মাত্র পঞ্চাশ বছর বয়স–তেষ্ট পেয়েছিল—কাচের গেলাসে জল খাচ্ছিল—হাতে গেলাস, মুখে জল, মরে গেল । স্ত্রকে রক্ত দিতে-দিতেই মরে যাবেন অণপনি । অবিশ্যি চট্টখণ্ডী মরে ছিল বলে মরবেন না । কিন্তু আপনি অসুস্থ । বিশ্রাম নিন।’ হরিলালবাবু বললেন : “এ তে কোন মেডিকেল সাটিফিকেট হল না । তা ছাড়া ডাঃ মজুমদারের সার্টিফিকেট আমরা গ্রাহ করব না । তিনি সিভিল সার্জেন BBBBB S BBBB BBBBBB BB S BBBBBB BBBBB BBB S BBBBB নিজেদের ডাক্তার দেখে দেবে আপনাকে—যদি ছুটির দরকার হয় । কোনো সার্টিফিকেট জুড়ে না-দিয়ে এমনিই দরখাস্ত করে কলকাতায় চলে এসেছে নিশীথ । কলেজের ও কাজ থাকবে না তার । কলেজ কমিটির পরের মিটিঙেই চটকে যাবে । একটা রেজিগনেশন দিয়ে চলে এলেই ভালো হত, কারু মনেই কণক প্রতি কোনো বিষ থাকত না তাতে । প্রভিডেণ্ড ফাণ্ডে কেনে টাকা নেই অণর নিশীথের ; হাতে কোনো টীকা নেই, কলকাতায় চাকরি নেই ; কলকাতায় চাকরির চেষ্টা অনেকবার হয়েছে ; আর এ বয়সে তার মত লোকের জনো বাস্তবিকই কোনো সঠিক চাকরি নেই কলকাতায় । চারদিককার তাড়া তাড়ি কড়াকডির ভিতর অবিলম্বেই কিছু নেই—হয় ত স্থায়ীভাবে কিছুই নেই, কোনো দিনই নেই, অন্ধকার বায়ুভূত সমুদ্রের সেই অচেতন ফেনার গুড়িটা ছিটকে পড়ছে ; মনে হচ্ছে যেন খুব আনন্দ পাচ্ছে । কিন্তু ওটা ফেনা নয়—মানুষ—ক্লান্ত হয়ে পড়েছে—পথ চায়, ঘর চায়, ওর যে মন আছে স্থির স্বাধীন হয়ে একান্তে বসে তার ব্যবহার চণয় । অনেক দূরে—সৈকতের কী এক বিচিত্র সাধনোচিত ধামে জমানে ফেনার মত স্নিগ্ধ হয়ে মিশে আছে জিতেন দাশগুপ্ত অণর তার স্ত্রী ; মিশে থাকবে চিরদিন । ওরণ পিতৃমাতৃযানের মানুষ লোকায়ত হয়ে রয়েছে এই বিছানায়—ওদের সঙ্গে কণরু কথা হয় না । সব নোটের তাল ব্যাগে চলে গেছে—দেরণজে বাণগগুলো যেখানে ছিল সেখানে রেখে, দেরীজে চাবি মেরে, মদের বোতলগুলোর একপাশে চাবির গোছা রেখে দিয়ে খালি হাতে বেরিয়ে গেল নিশীথ । ፄ টাকা নেবার খুব দরকার ছিল তার। পঁচিশ-ত্রিশ হাজার সরিয়ে ফেললে ২৩