পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘দিচ্ছে তো । বেশি দিন দিতে হবে না।’ ‘কেন ?? ‘না । বেশি রক্ত লাগবে না অণর । মা ভাল হয়ে উঠছেন । নিশীথ সেন নাকি নরেনকে ঠিক করে গেছলেন ? অৰ্চনা সুমনার দিকে তাকাল । সুমন পাশ ফিরে শুয়ে পড়েছে। চোখমুখ দেখা যাচ্ছে না তার । হয় তো ঘুমিয়ে পড়েছে, কিংবা এগিয়ে গেছে ঘুমেরু পথে খানিকটা দূর । ‘নিশীথবাবু তাড়াতাড়ি কলকাতায় চলে গেলেন। এ দিকটার কোনো ব্যবস্থা করে যেতে পারেন নি । কিন্তু তিনি তো নরেনের ওপর বরাত দিয়ে যান নি— আমি যতদূর জানি, অর্চনা বললে । সুমনা এড়িয়ে-এড়িয়ে বললে, ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে, ঘরের মেয়ে ঘরে । এখন তোমরা দু-জনে কথা বল, আমি একটু ঘুমোচ্ছি, বলতে-বলতে ঘুমিয়েই পড়ল সুমন । 'জুলেখা না কি, ওর নাম ? ‘ওর নাম মনোলেখা । ওর বাবা ওকে জুলেখা ডাকাত, সুলেখার সঙ্গে মিল দেবার জন্য ; না কি জুলেখার সঙ্গে মিল দেবার জন্মে সুলেখা নাম রাখল ওর বোনের I' ‘ওদের বাবা তো নেই এখন ?’ 'না, তিন-চার বছর হল মারা গেছেন।” ‘ভাই-টাই নেই তো শুনেছি।’ ‘নেই বলেই তো জানি, মা ছাড়া কেউ নেই।’ ‘কী করে চলে তা হলে ওদের ?’ এখানে বাড়ি রেখে গেছেন ওদের বাবা, লাখ দেড় লাখ টাকা ব্যাঙ্কে আছে । কলকাতায়ও ওদের বাড়ি আছে শুনেছি—পার্কসার্কাসে । অনেক দিন সে বাড়িটা বেহাতের মত হয়ে ছিল, এই বারে হাতে এসেছে । ভাড়ী পাচ্ছে ।’ 'জুলেখাদের বাড়িতে রোজই ষাচ্ছ ? ‘তোমাকে তো নিয়ে যেতে চেয়েছিলুম, গেলে না কেন ? ‘আমার তো এক দিন যাবার কথা ছিল, রোজ তো নয় । তুমি তো’—বলতে Ꮼ8>