পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘আমি দেখি নি, তুমি দেখেছ । বেরিয়ে যাবার সময় আমাকে বললে হত ন} অর্চনা ?” ‘তোমাকে কি অণমি বেরিয়ে যেতে বলেছি ? বালিশের নীচের থেকে নোটের তাড়া খসিয়ে এনে সাজিয়ে নিচ্ছিল হরীত । ‘টাকাটা গুনে দেখো ।” ‘অর্ণবণর কি গুনব ?" ‘টাকার ব্যাপার, গুনে দেখবে না ?’ অৰ্চনা মুখ আঁটোসাটাে করে স্নিগ্ধ চোখে বললে । না গুনে নোটের তাড়। পকেটে রেখে হরীত বললে, "সব টাকাই বাক্সে ছিল, মা যখন বিকেলে তার টাকাটা ফিরিয়ে দিতে বললেন, তখন সব টাকাই বের করেছিলাম, মগর টাকা মাকে দিয়ে চালের টাকাটা বালিশের নীচে রেখে দিয়েছি ।” ‘বেরুবার সময় কী ভেবেছিলে ?” ‘ভেবেছিলাম টাকা সঙ্গে নিয়েছি।” অৰ্চনা হেসে বললে, এ রকম ভুল বড়-বড় বিষয়ী মানুষেরও হয় । মনটা এলোমেলো হয়ে থাকলে এ রকম হয় ।” ‘তোমার সঙ্গে কথা বলতে-বলতে এলোমেলো হয়ে উঠল বুঝি আমার মন ? বেশ, শান্তির সময় তো এসেছিল অগঞ্জ সন্ধের সময় । জানা গেল সত্যি কী । তোমার সঙ্গে তো স্থির সম্বন্ধই পাতানো হল । তারপরেও এলোমেলো হয়ে থাকে কী করে আমার মন ?’ ‘একটা কথা হরীত—' ‘কী, বলে ?’ ‘সত্যিই তোমার-আমার স্থির সম্বন্ধ—’ অর্চনাকে থেমে যেতে দেখে হরীত বললে, “তোমার সুমনাদির কাছে ষা পেলাম না, সুলেখা যা আমাকে দিতে পারবে না, তার চেয়ে স্থির । ‘স্থির ?’ অৰ্চনা চারিদিকে একবার তাকিয়ে বললে, “রণত হয়েছে, কেউ কোথাও নেই । চলে আমার ঘরে—সেখানে বেশি অন্ধকার।’ কিন্তু হরীত নিজের ঘরেই বসে রইল। হরীতকে বসে থাকতে দেখে বসে রইল অৰ্চন । ○とや