পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললে, ‘তুমি !"

  • ই্যা আমি । আরো ব্রোমাইড চাই তোমার হারীত ? ‘ব্রোমাইড় ? বডড বেশি ঘুমিয়ে পড়েছি আজ’, হরীত বালিশের থেকে তুলে ডান হাতের ওপর মাথাটা রেখে দিয়ে বললে । লেডিজ ব্যাগের থেকে একটা শিশি বার করে জুলেখা বললে, ‘এর ভেতর ঘুমের ওষুধ আছে, ব্রোমাইডের চেয়ে অনেক ভাল, জার্মান ওষুধ, বেশ কনসেনট্রেটেড । তুমি কাল সন্ধের থেকে আজ পাচটা আদি ঘুমেলে। কিন্তু এ ওষুধ খেলে আর ডানে-বায়ে না তাকিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে পারবে চার-পাচ দিন ।”

‘এতই কি ঘুমোবার দরকার তোমার জুলেখা ? ‘কেন, আমার কেন ? আমার কথা বলছি ?” ‘ব্যাগে তো ঘুমের ওষুধ সঙ্গে-সঙ্গে নিয়ে ফিরছ তুমি । নিজের জন্যে নয় ? মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে বেড়াবার জন্যে ? ‘হঁ্যা হ্যা, আমাকে ঘুমতাড়ানি বুড়ি ঠাওরালে না কি। সে হব এক দিন যখন দেখব সকলেই ঠাণ্ড মেরে ঘুমিয়ে আছে । আজ কাল অনেকেই জেগে ঘুমোচ্ছে, ইউনিয়নে, পাকিস্তানে কোথাও কলকে পাচ্ছে না—আহা বেচারি সব ...আমি তাদের ঘুমের মাসি।” 'কলকে তোমরা আমাকে না দিয়ে ছাড়বে না জুলেখা—পাকিস্তানে যখন এসেই পড়েছি, হরীত বিছানায় উঠে বসে বললে, "কখন এলে তুমি ? ‘ঘণ্টাখানেক হল ।” ‘বাবা, তা হলে তো এসেছই । মীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল ?’ ই্যা হয়েছে। খুব অসুস্থ দেখলাম তাকে। কী, অ্যানিমিয়া বুঝি ? বেশি কথা-টথা বলতে পারলেন না । শুয়ে আছেন। খুব খারাপ দেখলাম তো শরীর ।” ‘কী কথা বললেন ? 'না, বললেন না কিছু।” 'কিছুই না ? এক-আধটা কথা কী বলতে গেলেন–জিভ জড়িয়ে গেল। বডড এলিয়ে পড়েছে শরীর দেখলাম তোমার মার । কে দেখছে ?” లqS