পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হবার অনেক আগে গত চার-পাঁচ বছর ধরেই তিনি কলকাতায় কাজের চেষ্টায় আছেন । র্তার কলেজ তাকে তার প্রাপ্য দেয় নি, তার পরিবারও র্তাকে ঠকিয়েছে, এ সব বিষয়ে শেষের দিকে তিনি খুব হদ হয়ে উঠেছিলেন । কলকাতায় কেউ তার ঢেকি কলে পাড় দিতে আসবে না—পড়ে থাকবে ঢেকিটা । এখানে বসে আমরা তাকে ইউনিয়নের শ্ৰীখোল মনে করে তবলায় চাটি মারছি । এ সব মানুষ আজকের পৃথিবীতে প্রাপ্য তো দূরের কথা কোনো পথই খুজে পান না। কী ধারণা ছিল নিজের দাবিদাওয়া সম্বন্ধে নিশীথবাবুর ? দেড়শ টাকা মাইনে পাচ্ছিলেন, দুশ টাকা নিচ্ছিলেন, সাতশ টাকা দাবি করতে পারলেন না ? কী দোষ হত তাতে ? কিন্তু তবুও পৃথিবীর দেনেওয়ালারা সব সময়েই ভালমানুষ । তাই তাকে দেড়শ টাকাই দেওয়া হচ্ছিল তো ; ছেলেমানুষি করে এত বড় টাকাটা ফেলে তিনি ইউনিয়নে চলে গেলেন অগরেণ বেশি টাকা পাবণর অণশায় ? না কি কম পেয়ে বেশি মর্যাদা চাইছেন বলে ?’ ‘কী ঠিকানা নিশীথবাবুর ? “চিঠি লিখবে তাকে তুমি ? “এ কলেজে তার জন্যে অবিলম্বেই বেশ ভাল পাকাপণকি একটা ব্যবস্থা করে তাকে জানাতে হয় । ‘কে ব্যবস্থা করবে ?’ “আণমরণই ।” ‘তোমরা ? ওয়াজেদ আলি সাহেবরা । হরিলালবাবুদের তো কলেজ । ‘সে হবে । দুশ টাকা চাচ্ছিলেন তো ? সে ব্যবস্থা করা হবে । তুমি ঠিকানা দাও তো ওঁর। তিনশ চারশ পেলেই তো ঠিক হত আমাদের দেশে ; ও-দেশে হলে হাজার-দেড় হাজার পাওয়া যেত, বেশিও পাওয়া যেত হয় তো । ইস, কি বিশ্ৰী মাইনে প্রফেসরদের।” ব্যাগের ভেতর থেকে একটা ছোট নোট বুক আর ছোট চেকনাই আমেরিকান পেনসিল বের করে জুলেখা বললে, ‘প্রফেসরদের এই রকম। আমি অনেক দিন থেকেই ভেবে আসছি অসামাজিক বেসামাজিক কাজ ইংরেজের আগমলে হয়ে গেছে । এখনো যদি কর্তৃপক্ষরা কিছু না করে তা হলে মাস্টার-প্রফেসরদের খুব শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন গড়া দরকার । নোট বুকটা কোলের ওপর ס'לסי