পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সটান ওপরে চলে গেল । নমিত ড্রয়িংরুমে বসেছিল । চকোলেট রঙের গদি-মোড়া একটা সোফণয় গিয়ে বসল নিশীথ— ‘আপনাকে ডাকছিলুম— “আণপনি ? কই শুনিনি তো ' ‘ঘুযুচ্ছিলেন।

  • নীচে গিয়েছিলেন অণপনি মিসেস দাশগুপ্ত ? ‘যাচ্ছিলুম। আপনার ঘরেই খেতুম এবার । কয়েকবার সিড়ির ওপর থেকে ডেকেছি।”

‘সি’ড়ির থেকে ?’ ‘শুনতে পেয়েছিলেন ? প্রত্যেকবারই দু-এক ধাপ নেমে, শেষের বার সিড়ির একেবারে নীচের ধাপ থেকে ডাকছিলুম। ঘুমুচ্ছিলেন । শোনেন নি। কাল রাতে অনেক জেগেছেন আপনি । উনি বলছিলেন অণপনি জেগে উঠলে—

  • কখন গেলেন অফিসে—’

‘সাড়ে ছটায় । অামি তখন জেগে উঠতে পারি নি।’ ‘ও’—নিশীথ বললে । ‘গণরাজ থেকে গাড়ি বার করে স্টার্ট দিচ্ছেন, ঘুমের ভিতর কানে গেল যেন আগওয়া জটা—তবে আমাদের মোটর—না অন্য করু—কোনো শিখ ড্রাইভার হাতে গেটের পাশে এসে—কলকাতার ড্রাইভারগুলো বড্ড জালাতন করে ; ঘাগড়-ডু-ডু-ডু-ডু-ড়—এত সহজেই তাদের গাড়ির কল বিগড়ে যায়— আর শেষ রাতে যখন মানুষ ঘুমুচ্ছে তাদের চড়াও করে ফুড়িতে-ফাড়তে না পারলে চলে না যেন অণর । সাদা ওয়াল পি লণগ—আণর—' ‘পিলগি ? ‘মানে প্লাগ—সাদা প্লাগ—সাদা প্লাগে কিছু বিগড়েছে আর কি ? বেশ তো বাৰ! বি গড়েছে, আমাদের কান টনছিস কি রে ? ‘পি-সি রায়’, নিশীথ শুরু করলে ‘মাড়েগয়ারিদের ঠিক ধরেছিলেন । ঠিকই বলেছিলেন, ঠিকই লিখেছিলেন আচার্য রায়, বাংলাদেশের অনেক কিছুই মাড়োয়ারিদের কবলে চলে গেল। সকলেই নিচ্ছে খাচ্ছে। পুরনো ফিরিস্তি সব । তবে দিনরাত অামাদের বাসে চড়তে হচ্ছে, মাড়েtয়ারি-ফগড়েগয়ারির চেয়ে এ সব ড্রাইভার-কনডাকটারদের সঙ্গেই ঘেঁষাৰ্ঘেষি । এক-একটা বাসে రిO