পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেরিয়ে গেছে ।” ‘চণরটে ডিম ? সেদ্ধ ? এত ডিম খায় কেন ? “অপপরুচি খান । ও নিয়ে তর্ক করে লাভ নেই । খেতে ভাল লাগছে। খাচ্ছে তো কয়েক হগুণ ধরে। এর পর অরুচি এলে মুখ বদলাবেই । চিনি লাগবে আপনার কফিতে ?

  • न ।।'

‘কফি না খেয়ে চা খেতেন হয় তো, কিংবা সরব ত—এই গরমে ' ‘কফি বেশ জিনিস । বেশ জিনিস ।” ‘ফ্যানের হাওয়া লাগছে তো ঠিক মত আপনার গায়ে ? বডড গরম আজ । হাওয়া নেই । লাগছে তো হাওয়া ? ‘ঠিক আছে।’ ‘একটু এগিয়ে বসুন—এই কোঁচটায়, এখানে বেশি হাওয়া লাগবে । আমি আপনার কফির পেয়াল ধরছি, আসুন ; হ্যা এইটায়, বেশ লাগছে না হাওয়া ? স্পিড বাড়িয়ে দেব আরো ? কফির পেয়ালা হাতে নিয়ে চুমুক দিতে যাচ্ছিল নিশীথ, মাথা নেড়ে বললে—‘না-না সব ঠিক আছে । এর চেয়ে বেশি হাওয়া—বেশি ভাল কোথাও নেই কলকাতা শহরে।’ নমিতার দিকে না তাকিয়ে, খানিকটা বিভোর অথচ বিচ্ছিন্ন, অন্য বৃত্তান্তের পুরুষ মানুষের মত নমিতার সামনে নিজেকে বসিয়ে রেখে কফি খেতে লাগল নিশীথ—ড্রয়িং রুমের একটা ঘোরানো শেলফের মোটা-মোটা বইগুলোর সোনার জলের দিকে, ঘরের আনাচে-কানাচে রোদে এক-আধটা ফিনফিনে ওড়নার বহতা বাতাসের দিকে তাকিয়ে থেকে । ‘জিতেন আগজ অফিসে যাবার অাগে যাচ্ছেতাই কাণ্ড করেছে ।” ‘কী করেছে ? ধীরে-ধীরে নমিতার দিকে মুখ ফিরিয়ে সমাহিত ঋষিপুরুষের গলায় জিজ্ঞেস করল নিশীথ । আজ ভোরে খাবার ঘরে ঢুকে জিতেন কী করেছে, না-করেছে, নিজের বিছানায় শুয়ে-শুয়ে সবই তো জেনে ফেলেছে নিশীথ । তবুও জিজ্ঞেস করল নমিতাকে, খড়খড়ে গিন্নিবাজের মত নমিতাকে বলল, "কী করল আবার ? ‘পাউরুটি, মাখন, জ্যাম, মর্মালেড়, মিনারেল ওয়াটার, এমন-কি কুঁজোর জল Oట్ర