পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়েছে বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু কী সে মুশকিল—সলিল মুখুজ্যে সাহেবের প্যারালিসিস । না সেই পক্ষাঘাতটাকে জড়িয়ে আরো কিছু ; পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারা গেল না কিছুই । ‘চলুন আপনাকে বালিগঞ্জ স্টেশনে নামিয়ে দিচ্ছি।' ‘চলুন । গাড়ি ড্রাইভ করে নিয়ে চলল নমিত । পথে কোনো কথা হল না । বালিগঞ্জ স্টেশনে নিশীথকে নামিয়ে দিল । ‘অণপনি সাড়ে বারটায় ফিরবেন ? ‘তাই তো ভাবছি ।' চীন সেরে যখন খেতে বসল দু-জনে, তখন দেড়টা বেজে গেল । খাওয়া হচ্ছিল খাবার ঘরে । টেবিলটা খুব বড় । বাবুর্চি, ডিশ-গেলাশ কাটা চামচ লাগিয়ে, টেবিলের এক পাশে, নমি তার হাতের কাছেই খাবার জিনিসগুলো নামিয়ে গেল সব । বাবুর্চিকে ছুটি দিয়ে দিল নমিত । ‘পার্কসার্কাসে মুখার্জি সাহেব কেমন আছেন ?

  • ভাল না ।"

‘প্যারালিসিস হয়েছে ? ‘হ্যা, খুব শক্ত । ‘দেখছে কে ?’ ‘একজন জার্মান ডাক্তার।’ ‘কেন, জার্মান কেন ? দিশি ডাক্তার নেই ? উনি স্পেশালিস্ট। রোজেনবুর্গ নাম । জার্মান ইহুদি । ‘ইহুদি ? উনি ভাল বলছেন না । সুবিধে করতে পারছেন না । বাবার বয়স বেশি নয় তো, মোটে বায়ান্ন। খুব তাগড়া শরীর ছিল—ভেবেছিলুম টপকে যাবেন ।' আজ ডাল-ভাতই রান্না হয়েছিল, চপ ছিল, ফ্রাই ছিল, মুর্গি নয়—কী-একটা পাখির মাংস রান্না হয়েছিল । আলাদা একটা ডিশে টেগমাটো শসা পেয়াজের 8S