পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নমিত মাথা কগত করে একটু ভেবে নিয়ে বললে, “মা ইফতিকারউদ্দিন সাহেবের বাড়িতে অগছে ।” ‘কে ইফতিকণরউদ্দিন ? ‘একজন বড় ব্যারিস্টার তিনি। বড় মানে অনেক টাকা আছে । ব্যারিস্টারি করেন না তিনি !’ ‘দুপুরবেলা তাস খেলেন ? ‘মার নেমস্তন্ন ছিল ওখানে, তাই তাঁস খেলবার ব্যবস্থা হয়েছে হয় তো ?’ বলে ঘরের ঝকঝকে র্কাচের শার্শিগুলোর উপর তাকিয়ে দেখল, গরম উজ্জ্বল দুপুরের সূৰ্যখণ্ডগুলো এসে পড়েছে সব—পরিচিত আত্মাদের মত যেন, ‘মাকে বলে দিয়েছি যে আমি এখন যেতে পারব না, পাচটা সাড়ে-পাচটায় যাব । বলেছি জিতেন এখানে নেই, জামশেদপুরে গেছে —এই যে টিন', বললে নমিতা । নিশীথ তুলে নিল একটা । হাতের কাছে ছোট তেপয়ের উপর রেখে দিল নমিতা টিনটা, নিজে সিগারেট নিল না । দেশলাই দিল নিশীথকে । শার্টের বুক পকেটে দেশলাইট রেখে দিল নিশীথ—জ্বালাল না । ইফতিকারউদ্দিন সাহেবের বাড়ি গিয়ে তাস খেলব দুপুরবেলা আমি— সে হয় না। যদি কোথাও যাই দুপুরে—বাবার কাছে যাব । দু জন নার্স ঠিক করে দিয়েছি বাবার জন্যে—তারা আছে ওখানে, তবে আমি মাঝে-মাঝে গেলে —বাবা চান যে আমি যাই । আমিও চাই যেতে |’ ‘ষাবেন নাকি আজ দুপুরবেলা ? ‘না ।” ‘কেন ?? ‘এই তো ইয়ুসুফ সাহেবের কাছে টেলিফোন করে এলাম।” “ইয়ুসুফ কে ? ‘বাবা যে ফ্ল্যাটে থাকেন, পার্কসার্কাসে, তারই আর-এক দিকে থাকে ইয়ুসুফ অণর তার স্ত্রী, খুবই ভাল লোক ওরা । কোথায় যেন বেরিয়ে গেছে আয়েষা । ফোন ধরল ইয়ুসুফ নিজে, বললে, মুখুজ্যে সাহেব ঘুমিয়ে আছেন, বাবা জেগে উঠলে—ওখানে আমার যাবার দরকার হলে, ইয়ুসুফ আমাকে জানাবে।' ‘দরকার যে কোনো মুহূর্তে হতে পারে । 8by