পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুমন চলে গেছে । এ সব ইণক-ইণকড় তার কানে পাঁচেছে কি না সন্দেহ । 'নরেনের কলকাতার ঠিকানা তোমাকে অগমি দিয়ে দেব । কোথায়, ফরডাইস লেনে, না কোথায় থাকত—গিরিবাবুর লেনে গিয়েছে । নাকি আগের জায়গাতেই আছে । আমি টুকে এনেছি সব—নরেনের কালুখুড়োর কাছ থেকে । নরেনের বাপটা যেমন জোচ্চোর—ওর খুড়ে তেমনি ভদ্র ভাল বিশ্বাসী মানুষ— ‘কলকাতায় যাবার আগে দিও নরেনের ঠিকানা আমাকে, কিন্তু কী হবে । যা নয়, তাই অৰ্চিতা । নরেনরা এর মধ্যে নেই। রানুর আর-কিছু একটা হয়েছে । তাকে ফিরে পাওয়ার কোনো কথা নেই ।” নিশীথের ও-সব বোকা কথা, ভাল কথা শুনবার কোনো প্রয়োজন আছে স্বীকার না-করে অর্চিতা বললে, “বোশেখ মাসে নরেন কলকাতায় যাচ্ছে । ঠিক কবে যাবে, গিয়ে ক-দিন থাকবে তোমাকে পরে জানাব আমি । কার বাড়িতে উঠবে তুমি কলকাতায় ? ‘আমি খুব সম্ভব বালিগঞ্জে থাকব । জিতেনের ওখানে । মস্ত বড সাহেব তো আজকাল জিতেন । বিয়েও করেছে । জিতেনের বাড়ি ক-দিন থাকা হয় বলতে পারি না ।” ‘কলকাতায় নরেনের বাডিতে গিয়ে জিনিসটা নিয়ে কোনো হই-হল্লা করো না । জিতেনবাবুর সঙ্গে পরামর্শ করে তোড়জোড করে লোকজন মোতায়েন রেখে নরেনকে চা খাওয়ণতে ডেকে নিয়ে যেও তোমাদের বাড়িতে ’ ‘কী করণ যাবে তারপর ?’ ‘তার পর কথা বের করে নিতেই হবে—যে-করেই হোক । ও সব জানে, ব্যাটা ছুঁচোর ব্যাটা । হাড় ক-খণনা অস্ত থাকতে দেবে না । কথা না-বার করে ছেড়ে দেবে না ।” ‘আমার সঙ্গে তুমিও কলকাতায় চলে অৰ্চিত । "চলো করমচাতলায়, উঃ বডড রোদ এখানে । লজিক হাতে মানুষটি কোনোদিকে নেই তো । না নেই। চারিদিকে ভাল করে চোখ ঘুরিয়ে দেখে নিল তারা । নিশীথরা এগিয়ে পড়ছিল ; কিন্তু খানিকট দূর যেতে না-যেতেই আর্চিতাকে কেটে পড়তে দেখে নিশীথ পিছু ফিরে bO