পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রফেসর—কে পেরেছে তার সঙ্গে ? হরেন তো তার ভাই—’ নল মুখে টেনে নিয়ে গোল্ডফ্লেকের টিনটা নিশীথের দিকে এগিয়ে দিয়ে কালুবাবু চোখ বুজে নল টানতে লাগল। টিনের থেকে একটা সিগারেট বের করে নিল নিশীথ । এ বাড়িতে আপনি বসে আছেন, প্রফেসর মানুষ । আমি আছি—তবুও হরেন মুখ খিস্তি করে গেল । আপনারা যখন ছোট ছিলেন এ-রকম হত ? সিগারেটটা জ্বালিয়ে নিল নিশীথ । তাদের ছোটবেলাকার কথাই । পৃথিবীতে তখন নানা রকম অভাব-অসঙ্গতি ছিল বটে। কিন্তু মানুষের মন ঢের বেশি স্নিগ্ধ ছিল ; কুড়ি-পঁচিশ-ত্রিশ বছর আগেকার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল নিশীথের । ‘বরেনকে দিয়ে কী দরকার আপনার ? —কালুবাবু জিজ্ঞেস করল । ‘বরেন কী করছে সেটা আরো খুলে বলুন কালুবাবু। 'ঐ তো এখানের মাটি ওখানে রাখছে— ‘মেহেরপুর গেছে কিসের জন্যে ? কিসের ব্যবসা ওর ? ‘ব্যবসা তা বাবার হোটেলে খাওয়ার । পাড়ার মেয়ে দেখে বেড়াবণর—' শুনে ছ।াৎ করে উঠল নিশীথের রক্তের ভিতর । ‘মেহেরপুর কেন গেছে বলতে পারি না”—কালুবাবু একটা ঢেকুর তুলে বললে । ‘পাড়ার মেয়েদের দেখেই কি শুধু ? 'না, নিরেমিষ দেখে চোখ জুড়েবার দিন নেই এখন বরেনের, নরেনের। সেটা হরেনের এলেম হয়ে আসছে।’ “সিগারেটের ছাই কোথায় ঝাড়ি—অ্যাশ-ট্রে দেখছি না।’ “চোখের সামনেই তো রয়েছে আপনার ।" ‘কোথায় ?” ‘এই যে আমার কলকেট, এরই ভিতর ছাই ঢেলে দিন । বরেন মেয়ে দেখতে মেহেরপুর গেছে কিনা আমি বলতে পারি না । তবে এদের ভাগ্যে নানারকম শিকে ছেড়ে বটে—’

  • কী রকম ? “টাকা পায়, আদির পায় । হ্যা, উকিল সরকারের ছেলে বলে খানিকটা

bró