পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৭৩

SのS9° হইতে মুবাদারীর সনন্দ গ্রহণ করিতে বাধ্য করেন (নজম-উদ-দৌল্ল দ্রষ্টব্য ) তাহাতে নন্দকুমার ইংরেজদের উপর আরও ক্রুদ্ধ হন । তিনি যে বাদশাহের দরবারে পূর্ব নবাবের প্রতিনিধি রাজা সীতাব রায়ের দ্বারা নজম-উদ্দৌল্লার নামে যুবাদারীর পরোয়ানা আনয়ন করাইয়াছিলেন, ইংরেজের। তাহীকে গ্রাহের মধ্যেই আনিলেন না । কিন্তু উপায়ান্তর না পাইয়া মন্দকুমীর তখন কার মত নীরব রহিলেন । নূতন নবীবের সহিত ইংরেজদের ষে নুতনভাবে পুনরায় সন্ধি হইল, তাহাতে নন্দকুমারের দেওয়ানার অবসান হইল । তাহfর পরিবর্তে মোহাম্মদ রেজা খা নায়েব সুবাদার নিযুক্ত হইলেন । এই নিয়োগ নবাব বাধ্য হইয়াই অনুমোদন করেন । তিনি নন্দকুমারকেই তাহার প্রধান হিত কাজী বলিয়া মনে করিতেন । মুর্শিদাবাদে অবস্থিত ইংরেজ কোম্পানীর প্রতিনিধি সকল দিক দেখিয়। কলিকাতায় সংবাদ প্রেরণ করেন যে নুতন নবাব অনেক বিষয়ে নন্দকুমারের পরামর্শ অনুসারেই কাজ করিতেছেন । তাহ শুনিয়া কলিকাতা হইতে প্রধানকৰ্ত্ত ( গবর্ণর ) সাহের নবাবকে লিখিলেন যে নন্দকুমারকে যেন অবিলম্বে কলিকাতায় প্রেরণ করা হয়, কারণ তাহার লিকুদ্ধে গুরুপ্তর অভিযোগ আছে । কলিকাতা ভারতীয়-ঐতিহাসিক মন্দ্ৰকুমার হইতে নবাবকে লিখিত পত্রের বিষয় অবগত হইয়াই, মুর্শিদাবাদের :কুঠার সাহেবের কৌশলে নন্দকুমারকে র্তাহাদের কুঠাতে আটক করিলেন । নবাব তাহ জানিতে পারিয়! স্বয়ং মতিঝিলে অবস্থিত কুঠীতে যাইয়া নন্দকুমারকে মুক্ত করিয়া আনেন । ইহার ইহার কিছুকাল পরে কলিকাতা হইতে বারংবার তাগিদ আসিতে থাকাতে ১৭৬৫ খ্ৰীঃ অব্দের এপ্রিল মাসে নন্দকুমার কলিকাতায় উপনীত হইলেন । মহারাজ নন্দকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি কোম্পানীর বিরুদ্ধে কাণীর রাজা বলবন্ত সিংহকে মুজা-উদ-দৌল্লার পক্ষ সমর্থন করিতে অনুরোধ করেন । নিরপেক্ষভাবে বিচার করিলে বলিতেই হইবে, যে এই অভিযোগ নন্দ কুমারের বিরুদ্ধে কখনই অfনা চলিত না । কারণ তিনি কোম্পানীর কৰ্ম্মচারী বা অম্পৃহীত ব্যক্তি ছিলেন না । সুতরাং কোম্পানীর স্বার্থহানীকর কোনও কাজ অপর কাহাকেও করিতে বলিয়া তিনি কোম্প{নীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেন নাই। বরঞ্চ তিনি র্তাহার প্রকৃত প্ৰভু নবাবের পক্ষ লইয়া যfহা করিয়াছিলেন তাহা প্রকৃত প্রভুভক্তির কাজই হইয়াছিল। পরবর্তীকালে যদিও হেষ্টিংস সাহেবই তাহার বিরুদ্ধে জাল দলিলের অভিযোগ অনিয়ন করেন, এক্ষেত্রে