পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:y oსrპ বাহুবলেরই ভজনা করিতে হইবে । এই সময়ে সার জন ক্যাম্বেল (Sir John Campbel) of:CŞā ছোট লাট ছিলেন। র্তাহার শাসনকালে এদেশে শিক্ষায়তন সমূহে ব্যায়াম চর্চা প্রবর্তিত হয় । প্রধানতঃ ইংরেজি ধরণের ব্যায়ামই শিক্ষ। দেওয়া হইত। নবগোপালও একটি ব্যায়াম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। র্তাহfর “আখড়ার” ছাত্রদিগকে তিনি তরোয়াল খেলা, লাঠি খেলা, বন্দুক ছোড়া প্রভৃতিও অভ্যাস করিতে দিতেন ( তখন অস্ত্রআইন প্রবর্তিত হয় নাই ) | বাহুবলের সাধনায় মনোনিবেশ করিলেও অন্ন সংস্থানের চিস্তা ও তিনি করিতেন । ইংরেজ ভারতবর্ষে নিজ ব্যবসায় বাণিজ্য বিস্তার করিয়া দেশকে অন্নহীন করিয়া তুলিতেছে, ইহাই ছিল নবগোপালের অপর ধারণ । অন্নবস্ত্রের চিন্ত দেশের লোককে জরাজীর্ণ করিতেছে । অতএব স্বজাতির বাহুবলের প্রতিষ্ঠা করিতে, দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যকে নিজেদের আয়ত্বে অনিতে হইবে, ইহাই ছিল নবগোপলের অপর বদ্ধমূল ধারণ। এই ধারণার বশবৰ্ত্তী হইয়াই তিনি হিন্দু মেলার প্রবর্তন করেন । বৰ্ত্তমানকালেও নানাস্থানে যে সকল শিল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, তাহাদের মূলেও সেই এক উদ্দেগু । নবগোপালের হিন্দু মেলাতে স্বদেশী ১৩৭—১৩৮ ভারতীয়-ঐতিহাসিক নবগোপাল পণ্য দ্রব্য প্রদর্শিত হই ত, ব্যায়ামাদির পরীক্ষা হইত, জাতীয়ভা-উদ্বেtধক সঙ্গীত ও বক্তৃতাদি হইত, এবং পণ্য ও ব্যায়াম প্রদর্শকদিগকে প্রকাe্য সভায় অভিনন্দিত করিয়া যথাযোগ্য মূল্যবান পুরস্কার দেওয়া হইত। মেলা বৎসরে একবার বলিত কিন্তু উঠার আয়োজনে নবগোপাল ও তাহার সহকৰ্ম্মীগণকে প্রায় সমস্ত বৎসরই ব্যস্ত থাকিতে হইত । এই হিন্দু মেলাতেই ত্রিপুরা ঞ্জিলার সরাইল পরগণার অন্তর্গত কলিকচ্ছ গ্রাম নিবাসী খ্যাতনাম চিকিৎসক মহেন্দ্রনাথ নন্দী মহাশয়ের উদ্ভাবিত নূতন ধরণের তাত প্রদর্শিত হয় । এই হিন্দু মেলা কয়েক বৎসর ধরিয়া চলিয়াছিল। শেষপরের মেলায় একটি ফিরিঙ্গির অশিষ্ট আচরণে মেলার মধ্যে তুমুল মারামারি উপস্থিত হয়। দেশ প্রসিদ্ধ বিপিনচন্দ্র” পালের সহিতই প্রথম ফিরিঙ্গিটি অশিষ্ট আচরণ করে। নবগোপাল বাবু”ষ্ঠাশানাল পেপার” (The National Paper) Rfc8 (43. নি ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্র সম্পাদন করিতেন। উহার ইংরেজি রচনায় অত্যন্ত ভুল থাকিত । নবগোপাল তজ্জষ্ঠ লজ্জি ত হইতেন না । তিনি উহা স্বাদেশিক তারই একটি লক্ষণ বলিয়া মনে করিতেন । তিনি বলিতেন *ও ত অfমার নিজের ভাষা নয়। ও ८ञ्चक्र डबाग्न ब८नाङद दाङ कब्रिएङ পারলেই যথেষ্ট হইল” ।