পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২৭ আনন্দমোহন বসু বড়লাটের সহিত সকলকে পরিচয় করাইয়া দিতে থাকেন। যখন নরেন্দ্রনাথের পরিচয় প্রদান করেন, অমনি লর্ড ডাফরিণ ক্রোধে রক্তবর্ণ হইলেন এবং নরেন্দ্রনাথকে রূঢ় স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে আপনাকে আফগানিস্থান সম্বন্ধে মিথ্য সংবাদ দিয়াছেন । র্তাহার নাম বলুন ?” তখন নরেন্দ্রনাথ তেজে ভরে উত্তর করিলেন, ইহা মহারাণী ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধির রাজপ্রাসাদ এখানে আমি অপমানিত হইতে আসি নাই । কে আমাকে সংবাদ দিয়াছেন, তাহ বলিব না, তাহ বলা সম্পাদকীয় নীতিবিরুদ্ধ।” র্তাহার ভয়ানক তেজোময় উত্তর শুনিয়া লর্ড ডাফরিণ ক্রোধে অগ্নিবৎ জলিয়া উঠিলেন, উপস্থিত সকলেই মনে করিলেন বোধ হয় মারামারি হইবে । যখন ব্যাপার ঘোরতর আকার ধারণ করিবার উপক্রম হইল, তখন আনন্দমোহন বসু মহাশয় তাড়াতাড়ি অভিনন্দন পত্র পাঠ করিতে আরম্ভ ক১িলেন । অভি. নন্দন পত্র পাঠ শেষ হইলে লর্ড ডাফরিণ তাহার উত্তর পাঠ করিলেন । এই অবসরে তাহার ক্রোধ প্রশমিত হইল । তখন তিনি তাহার ক্রটি বুঝিতে পারিলেন এবং নরেন্দ্রনাথের হাত ধরিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন । ১৮৯৭–১৮৯৯ খ্ৰীঃ আব্দ পর্য্যস্ত তিনি কলিকাতা মিউনিসিপ্যালিটির ভারতীয়-ঐতিহাসিক নরেজমাখ প্রতিনিধিরূপে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য থাকিয়া দেশহিতৈষিত ও তেজস্বি" তার পরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন । কলিকাত। মিউনিসিপ্যালিটির সহিত সরকারের গোলযোগ হইলে, নরেন্দ্র নাথ প্রমুখ আটাশজন প্রতিনিধি ( Commissioner) *wējt’s of al ছিলেন। পরে কেহ কেহ প্রতিনিধি পদ গ্রহণ করিয়াছিলেন ; কিন্তু নরেন্দ্র নাথ সেই পদ আর গ্রহণ করেন নাই। তিনি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের একজন প্রধান নেতা ছিলেন। ১৯০৫ খ্ৰীঃ অব্দের ৭ই আগষ্ট টাউন হলের সভায় তিনি বয়কট (Boycott ) প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং উহা গৃহীত হইয়াছিল । ১৯০৬ খ্ৰীঃ অঃ ৭ই আগষ্ট গ্রিয়ার পার্কে বয়কটের বার্ষিক অধিবেশনে, তাহার সভাপতিত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হইয়াছিল। ১৯০৭ খ্ৰীঃ অব্দে যাহারা বিলাতী লবণ ফেলিয়া দেওয়া এবং বিলাতী বস্ত্র বিক্রয় বন্ধ করিয়া দেওয়ার অপরাধে কারাদণ্ড ও শাস্তি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তাহীদের প্রতি সন্মান প্রদর্শনার্থ এক সভা হইয়াছিল। তিনি সভায় লাঞ্ছিতদের প্রত্যেককেই স্বহস্তে পদক (Medal) প্রদান করিয়াছিলেন । তিনি যাহা ধৰ্ম্ম বলিয়া মনে করিতেন, তাহার সমর্থনে নিউীকভাবে চেষ্টা করিতেন। বৌদ্ধধৰ্ম্মও খিরসঙ্কি