পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৬৬

अब्रिक জীবণীকোষ ۵ اند . कब्रिाडनTकिरुनानक निडाटक নানাপ্রকার তত্ত্বপূর্ণ বাক্যে সস্তুষ্ট করিতে চেষ্টা করিতেন। অনেক সময় কালুবেদী পুত্রের এইসব তত্ত্বপূর্ণ কথার অর্থ বুঝিতে না পারিয়া মনে করিতেন যে, নানক প্রলীপ বাক্য বলিতেছে। পিতামাতা, আত্মীয় বন্ধু সকলেই নানকেয় মস্তিষ্ক বিকৃতি হইয়াছে মনে করিয়া চিকিৎসক ডাকিবীর জন্য কালুদেবীকে পরামর্শ দিল । কালুবেদী নানকের রোগ নির্ণয়ের জন্ত হরিদাস বৈদ্যকে ডাকিয়া আনিলেন। বৈদ্য রোগ পরীক্ষা করিবার জন্য নানকের নিকট গমন করিলে তাহার সহিত হরিদাসের যে কথাবাৰ্ত্ত হয়, উহাতেই চিকিৎসক তাহার অলৌকিক ভাব ও কথায় মুগ্ধ হন । তিনি বুঝিতে পারেন যে, নানক ঈশ্বর প্রেমে উন্মত্ত হইয়াছেন । অবশেষে তিনি নানকের পিতাকে ডাকিয়া বলিলেন “তোমার পুত্র সামান্ত ব্যক্তি নহেন, আমাদের স্তায় সাংসারিক জীব তাহাকে রোগ মুক্ত করিতে পারিবে না । এক সময়ে নানক পিতার অত্যন্ত পীড়াপীড়িতে বিষয় কার্য্য করিতে সম্মত হন । একদিবস তাহার পিতা তাহাকে বিশ টাক; এবং ভাই বালা নামক একজন বিশ্বস্ত ভূত্য সঙ্গে দিয়া ( খারা সওদা ) উৎকৃষ্ট ব্যবসায় করিতে প্রেরণ করেন। পথে যাইতে যাইতে র্তাহারা বৃক্ষলতাদি পূর্ণ একটি নির্জন স্থানে তপস্তায় নিরত একটি সাধু মণ্ডলী দেখিতে পাইলেন। নানক সন্ন্যাসীগণের তপস্তাদি দেখিয়া একেবারে মুগ্ধ হইয়া গেলেন, এবং সঙ্গীয় টাকা দ্বারা খাদ্য দ্রব্যাদি ক্রয় করিয়া সন্ন্যাসীদিগকে ভোজন করাইলেন । তৎপর নানক শূন্ত হস্তে গৃহে প্রত্যাগত হইলে তাহার পিতা তাহাকে যথেষ্ট প্রহার করিলেন । ক্রমে নানক বিংশতি বৎসরে পদাপণ করিলেন । একদিন গ্রামের প্রান্তে একজন সন্ন্যাসী আসিয়াছেন শুনিয়া সন্ন্যাসী দর্শনে তথtয় গমন করিলেন । নানকের বৈরাগ্যের কথা সন্ন্যাসী পূৰ্ব্বেই শুনিয়াছিলেন। এখন তাহাকে পরীক্ষা করিবার জন্য তাচার হস্তের অঙ্গুরী ও সঙ্গীয় জলপাত্রটি চাহিলেন । নানক তৎক্ষণাৎ স্বীয়ু অঙ্গুরী জলপত্র সন্ন্যাসীকে প্রদান করিলেA ৷ সন্ন্যাসী পুনরায় নানককে র্তাহীর অঙ্গুরী ও জলপাত্র গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোপ করিয়াছিলেন, কিন্তু নানক আর তাই গ্রহণ করেন নাই । এই সংবাদ পাইয়। তাহার পিতা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইমেন এবং নানককে গৃহত্যাগ করিয়া চলিয়া যাইতে বলিলেন । নানক তাই ার ভগিনী নানকীর নিকট সুলতানপুরে গমন করিলেন । নীনকের ভগিনীপতি জয়রাম সুলতানপুরের নবাব দৌলত খ। লোদীর অধীনে প্রতিপত্তির সহিত