পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৬৫ মুক্ত করেন এবং তাহার প্রতি যথেষ্ট সন্মান প্রদর্শন করেন। নানক বাবরকে একমাত্র ঈশ্বরের চিন্তা করিতে উপদেশ ও দান করিয়া তথা হইতে সিন্ধুদেশে গমন করেন । সেইখানে তিনি বহু লোককে ধৰ্ম্মোপদেশ দ্বারা সৎপথে আনয়ন করিয়াছিলেন । অনেক সাধু ভক্তের সঙ্গেও তাহার ধৰ্ম্ম লিপি হইয়া ছিল । সেথ ফরিদ নামে যে প্রসিদ্ধ মুসলমান সাধুর বাণী গ্রন্থসাহেব মধ্যে সন্নিবিষ্ট হইয়াছে, তিনিও সিন্ধুদেশেরই অধিবাসী ছিলেন । নানক সিন্ধুদেশ পৰ্য্যটন শেষ করিয়া যখন পুনরায় কৰ্ত্তীরপুরে বাস করিতে থাকেন তখন লহিনী নামে এক ব্যক্তি বিশেষভাবে নানকের প্রতি আকৃষ্ট হন । নানক এই লহিনীকেই শিখদিগের দ্বিতীয় গুরু পদে অভিষিক্ত করিয়াছিলেন এবং তাহtর নাম অঙ্গদ রাথিয়াছিলেন । নীলকের ভারতের সৰ্ব্বত্র ভ্রমণ করিবার সময় বহু রাজা, জমিদার ও ধনী ব্যবসায়ী তাহার ভগবদ্ভক্তিতে আকৃষ্ট হইয়া সংসার ধৰ্ম্ম পরিত্যাগপূৰ্ব্বক বৈরাগ্য অবলম্বন করিয়াছিলেন এবং অনেক ভণ্ড প্রতী রকের মধ্যে ধৰ্ম্মভাব জাগ্রত হইয়াছিল । ৯৪৬ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে (১৫৩৯ খ্ৰী: ) একাত্তর বৎসর বয়সে গুরু নানক কৰ্ত্তীরপুরে যোগাবলম্বনে মানবলীলা সম্বরণ করেন । র্তাহার মৃত্যুর ভারতীয়-ঐতিহাসিক মানক পর শবদেহ লইয়া হিন্দু মুসলমান শিন্যের মধ্যে বিরোধেরস্থষ্টি হয়। হিন্দুরা হিন্দুরীতি অনুসারে তাহার দেহ দtহ করিতে ইচ্ছুক হন, কিন্তু মুসলমানগণ র্তাহীদের রীতি অনুসারে তা হার দেহ সমাহিত করিতে উদ্যত হন । এই কারণে উভয় সম্প্রদাদের লোক অস্ত্র ধারণে পর্য্যন্ত প্রস্তু ত হইয়াছিল । এইরূপ কথিত হয় যে, সেই সময় একজন লোক মৃতদেহের আবরণ উন্মোচন করিয়া দেখিল যে, মৃতদেহ এখীন হইতে অন্তর্হিত হইয়াছে। তখন মৃতদেহের আবরণ দ্বিখণ্ডিত করিয়৷ উভয়ে গ্রহণ করিল। হিন্দুগণ র্তাহদের অংশ দাহ ও মুসলমানগণ র্তাহদের অংশ সমাহিত করিলেন। গুরু নানক শিখদিগকে যে সকল উপদেশ দিয়াছিলেন,শিষ্যেরা তাহা সংগ্ৰহ করিয়া “অtদি গ্রন্থ” নামে এক পুস্তক সংকলন করেন। শিখেরা এই গ্ৰন্থকে অতিশয় ভক্তি করেন। আদিগ্রন্থ নানকের রচিত বহু প্রকার রাগ-রাগীণী সম্বলিত গান, জপঞ্জী, আশাfকবার, কীৰ্ত্তি সোহিল, প্রাণ সাংলি, ভোগকী বাণী প্রভৃতি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। তন্মধ্যে ‘প্রাণ সাংলি’ গ্রন্থে বহু বিষয়ের বিধি ও নিষেধ আছে অর্থাৎ ইহা ব্যবস্থা শাস্ত্র এবং ‘ভোগকী বাণীত্তে’ ভগবানের স্তোত্র ও কতকগুলি উপদেশ उपitछु !