পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৭৮

জীলা সাহেব । ধাত্রীবাদী নৌকাগুলির মধ্যে একখানি নৌকা গোলাবর্ষণে নষ্ট হয় নাই। সেই নৌকাখানিতে ক্যাপ্টেন টমসন প্রমুখ কয়েকজন সেনানী ছিলেন। র্তীস্থার প্রাণ রক্ষার জন্য কোন ও উপায়ে স্রোতের অমুকুলে নৌক৷ ভাসাইয়া দিয়া পলায়ন করিতে লাগিলেন । উত্তেজিত সিপাহীরা অবশু র্তাহাদিগের পশ্চাদমুসরণ করিতে নিরস্ত হয় নাই । কিন্তু নানা ভাগ্য বিপৰ্য্যয়ের মধ্যেও র্তাহারা অতি ক৪ে অযোধ্যার অন্তঃপাতী মোরারমো নামক স্থানের সন্ত্রান্ত ভূস্বামী রাজা দিগ্বিজয় সিংহের আশ্রয়ে আসিয়া উপনীত হইলেন । দিগ্বিজয় সিংহ তাহাদিগকে সাদরে আশ্রয় দিয়া কিছুকাল পরে যথাযোগ্য ব্যবস্থা সহকারে লক্ষেীতে সেনাপতি হ্যাবলকের নিকট প্রেরণ করিলেন । যে সকল হতভাগ্য ইংরেজ কানপুরে পুনরায় দন্দী হইয়াছিলেন, তাহাদের মধ্যে অনেকে অল্পকাল মধ্যেই উন্মত্ত সিপাহীদের হস্তে নিহত হইলেন। অবশিষ্টগণকে বন্দী করিয়া রাখা হইল । এই সময়ে ফতেগড় নামক স্থান হইতে অনেক ইংরেজ নিরাপদে থাকিবীর ও সাহায্য পাইবার ভ্রান্ত আশা, কানপুরে আগমন করেন । কানপুরের অবস্থা র্তাহীদের সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল । বল বাহুল্য কানপুরে উপনীত হইলামাত্র তাহারাও বন্দী হইলেন । शैबनी.८कांव ১১৭২ ১লা জুলাই তারিখে নানাসাহেব ঠিরে যথাযোগ্য উৎসব সহকারে আপনাকে পেশোয় বলিয়া ঘোষণা করিলেন। এই সময়ে অজিম উল্লাই তাহার প্রধান মন্ত্রণাদাতা ছিলেন । নানাসাহেব নিজেকে পেশোয়া বলিয়। প্রচার করিলেও, স্বাধীনভাবে কাজ করিলার ক্ষমতা লাভ করিলে ন ন । বিশেষত সেই সময়ে কানপুর ও তৎiশ্ববৰ্ত্তী স্থানসমূহে মুসলমানদিগের বিশেষ প্ৰtধান্য ছিল । তাহীদের মত বিরুদ্ধ কোন ও কাজ করা নানাসাহেবের পক্ষে একরূপ অসম্ভব ছিল । র্তাহার সহযোগীগণ, তাহীকে পেশোয়ার পদ প্রদানপূৰ্ব্বক নিজেদের ইচ্ছামুযায়ী সকল কাজ করিতে লাগিল । নানাসাহেব ইচ্ছা করিলেও তাহীদের কোনও কাজে বীপ দিতে পারিতেন F1 | কানপুরের পতন সংবাদ যখন যথাসময়েই অন্যত্রস্থিত ইংরেজদের গোচরীভূত হইল, র্তাগর তখন প্রতিশোধ লইতে কৃতসংকল্প হইলেন । তদুদ্দেশ্যে লক্ষেী হইতে সেনাপতি হ্যাঁদেল ক ( Havelock ) জুলাই মাসের প্রথমভাগেই কানপুর যাত্রা করেন । পথিমধ্যে রেও নামক অপর একজন সেনাপতি ও সৈন্যদলসহ ঠাহীর সহিত মিলিত হন । নানাসাহেব ও চর-মুখে এই সংবাদ পাইয়। যুদ্ধের জন্ত প্রস্তুত হইলেন ।