পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নামদেব জীবনী-কোষ SS१७ করিয়৷ শীতল হইতেন । এইরূপে ভক্ত প্রবর ধৰ্ম্ম পথে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । একদিন বৃদ্ধ বামদেবকে কাৰ্য্য বশতঃ গ্রামান্তয়ে গমন করিতে হইল । বিগ্রহের পূজার ভার কাহার উপর অর্পণ করেন, এই জন্ত বামদেব চিন্তিত হইলেন । অবশেষে নামদেবের উপর পূজার ভার অর্পণ করিয়া, তিনি কাৰ্য্যস্থলে গমন করিলেন । নামদেব যথা সময় পূজার কার্য্য সমাধা করিলেন । অপরাহে দুগ্ধ ভোগ দিতে হইবে । দুগ্ধ আনিয়া পবিত্র পাত্রে লইয়। ঐবিগ্ৰহ সমীপে উপস্থিত হইলেন । দুগ্ধ পাত্র ঐবিগ্রহ সন্মুখে রাখিয়া বলিলেন, হরি কৃপা করিয়া আপল হস্তে দুগ্ধ পান কর ; নতুবা আমি ঐদিনে ধরি । কেন ঠাকুর আমার পানে চাহিয়া মৃদ্ধ হাস্ত করিতেছ ? এবং দুধ খাইতেছ ন, আমি এস্থানে থাকিলে বুঝি খাইবে ন, তবে আমি বাহিরে যাই তুমি দুগ্ধ পান কর এই বলিয়া সরল প্রাণ বালক ঠাকুর গৃহ হইতে বাহির হইয়া গেলেন। কিছুক্ষণ পরে যখন দেখিলেন ঠাকুর দুগ্ধ পান করেন নাই। তখন নামদেব বড় কাতর হইয়া পড়িলেন, ভাবিলেন, আমার সহিত ঠাকুরের পরিচয় নাই, তাই বুঝি দুগ্ধ পান করিলেন না, অথবা দুগ্ধে অপবিত্র কিছু ছিল তাই হরির অগ্রাহ হইয়াছে। নামদেব পুনরায় দুগ্ধ আনিয়া পবিত্রভাবে ঐবিগ্রহের নিকট রাখিলেন । কিন্তু ঠাকুর দুগ্ধ পান করিতেছেন না দেখিয়া, অতি কাতরভাবে বলিতে লাগিলেন, হরি, দাদা দুগ্ধ দেন, তুমি আনন্দে পান কর আজ আমার কোন অপরাধে গ্রহণ করিতে ছ না ? অামি জানিলাম, আমি মহাপাপী, তুমি যদি আমার প্রদত্ত দুগ্ধ পান না কর, আমি গলায় ফাসি দিব, বিষপান করিয়া তোমার সম্মুখে প্রাণত্যাগ করিব, কিংবা ছুরিকা দ্বারা এই পাপ জীবণের অবসান করিব । এই বলিয়া ছুরিকা লইয়া যেমন হৃদয়ে প্রবিষ্ঠ করিতে উদ্যত হইলেন, অমনি ভক্ত বৎসল ভগবান বাম হস্তে ভক্তের হস্ত ধারণ করিয়া দক্ষিণ হস্তে দুগ্ধ পান করিলেন। বামদেৰ গৃহে প্রত্যগত হইয়া, নামদেবকে সেবা পূজার কথা জি জ্ঞাসা করিলেন । নামদেব দুগ্ধ প্রসাদ যাহ। রাখিয়াছিলেন, মা তামহ নিকট উপস্থিত করিলেন । মা তামহ দুগ্ধ দেখিয়া বলিলেন—তুমি সমস্ত দুগ্ধ পান করিয়াছ এবং অবশিষ্ট যুংকিঞ্চিৎ আমার জষ্ঠ রাখিয়tছ । নামদেব বলিলেন— ন দাদা আমি পান করি নাই । ঠাকুর প্রথমে আমার প্রদত্ত দুগ্ধ পান করেন নাই, পরে আমি প্রাণত্যাগ করিবার সঙ্কল্প করিলে দয়াল ঠাকুর দয়া করিয়া নিজ হস্তে দুগ্ধ পান করিয়। আমাকে কৃতাৰ্থ কল্পিয়াছেন । বামদেব দৌহিত্রের কথা শুনিয়া চমৎ