নীলমণি প্রবল ঝড়ে গির্জার চুড়া ও ছাতের কিয়দংশ পতিত হইয়া একটী লোকের জীবন নষ্ট হইল ; গবর্ণমেণ্ট ইহার কারণ প্রদর্শন করিতে বলিলে, উপরস্থ কৰ্ম্মচারীরা নীলমণি বাবুর উপর দোষ ন্যস্ত করিতে সচেষ্ট হইলেন । কিন্তু তিনি চিফ ইন্জিনিয়ারকে তাহার পূৰ্ব্বোক্ত মন্তব্য প্রদর্শন করিলেন। সুতরাং অভিযোগ এখানেই সমাধি লাভ করিল । ইহার পরেই তাহীকে অন্তভ্র বদলী করিবার চেষ্টা হয় । তিনি ইহা জানিতে পারিয়া কৰ্ম্মত্যাগ পত্র প্রদান করেন । কিন্তু র্তাহাকে স্বপদে রাখিবার জন্ত বিশেষ যত্ন করা হইয়াছিল । তিনি ইহাতে সম্মত হইলেন ন! । কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া তিনি স্বাধীনভাবে কাৰ্য্য করিতে আরম্ভ করেন । তিনি কলিকাতার পাইকপাড়ার রাজাদের বাড়ী, বাগান প্রভৃতি মহারাজ যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের প্রাসাদ ও এমারেল্ড বাউয়ার নামক উদ্যান বাট, গুণমবাজার কীৰ্ত্তি মিত্রের বাড়ী, বাগবাজারের নন্দলাল বসুর বাড়ী প্রভূতি, বহু বড় লোকের বাড়ী, বিনা পারিশ্রমিকে সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের বাড়ী, বিদ্যাসাগর কলেজের বাড়ী প্রভূতি, ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরফ রের বিজ্ঞান কলেজের বাড়ী, শুধু বিনা পরিশ্রমিকে করেন নাই তদুপরি কলেজের জন্ত এক হাজার টাকা চাদাও দিয়া জীবনী-কোষ S२8रै ছিলেন । এই সমস্ত কাজ সুচারু রূপে সম্পন্ন করিয়াও তিনি বহু জনহিতকর কার্য্যে যোগদান করিবার সময় করিয়া লইয়াছিলেন । তিনি কাশীপুর পুরতন্ত্রের সহকারী সভাপতি, দমদম পুরাতন্ত্রের সভাপতি, কলিকাতা পুরতন্ত্রের কৰ্ম্ম সচিব, দমদম ও শিয়ালদহের অবৈতনিক বিচা
- (IHonorary Magistrate), oft
কাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য (Fellow), স্থপত্তি বিদ্য বিভাগের সভ্য (Member of the Faculty of Engineering), বিজ্ঞান সভার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও কাৰ্য্যকরী সভার সভ্য, ইন্জিনিয়ারিং সমিতির সভাপতি ও হিন্দু হোষ্টেল কমিটীর দ্যাস রক্ষক ছিলেন । তিনি এই সমস্ত অনুষ্ঠানের সহিত ধনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন । কি উপায় অবলম্বন করিলে উহাদের উন্নতি হইতে পারে সতত তিনি এই চিন্তা করিতেন । তাহার সৰ্ব্বতোমুখী কাৰ্য্যপ্রণালীর সম্পূর্ণ বিবরণ এস্থানে দেওয়া সম্ভবপর নচে । ১৮৯০ সালে কলিকfত পুরতন্ত্রেণ প্রধান কৰ্ম্ম কৰ্ত্ত হেরিসন সাহেব, আইন করিম নগরবাসীদের বাড়ী ভাড়। অত: ধিক বৃদ্ধি করিয়াছিলেন । তিনি তা রি বন্ধু ভূপেন্দ্রনাথ বসু, সুরেন্দ্রনাথ বানাজ্জা, আনন্দমোহন বসু, প্রভৃতির সাহিত মিলিত হইয়া, করদাতা সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন । তাঁহাদের পক্ষ হইতে প্রতি
