পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬৭ সমস্ত ভার জ্যেষ্ঠতীতের মন্ত্র শিস্যের উপর অর্পণ করিয়া তীর্থ ভ্রমণের জন্য নিরুদ্দেশ যাত্রা করেন । প্রায় দুই বৎসরকাল তিনি ভারতের নানা তীর্থ ভ্রমণপূর্বক বহু জ্ঞান সঞ্চয় করিয়৷ পুনরায় কুর্থ আশ্রমে আগমন করেন । তীর্থ ভ্রমণকালে তিনি গিরণাব পাহাড়ে গমন করেন এবং সেখানে এক মহt= পুরুষের দর্শন পাইয়া তাতার নিকট হইতে যোগ শিক্ষা করিয়াছিলেন। তিনি আশ্রমে আগমনের পর দলে দলে লোক আসিয় তাহার নিকট হইতে উপদেশাদি গ্রহণ করিতে লাগিল । এইবার তিনি অনাহার ত্যাগ করিয়া অশ্বথ, আমলকী, বিল্বপত্র প্রভৃতি বাটিয়া তাহার রস ও অল্প দুগ্ধ পান কারতেন । তখন হইতে জনসাধারণ তাহাকে পওহারী (পবন অfহার) নামে অভি• হিত করিতে লাগিল । কয়েক মাস পর তিনি এই বৃক্ষপত্র রস পান ত্যাগ করিয়া প্রতিদিন বড় বড় পঞ্চাশটি লঙ্ক বাটিয়৷ এক ঘটী জল সহ পান করিতেন । তাই ার দীর্ঘ কেশ ও শ্মশ্র ছিল, কিন্তু তিনি সাধারণ সন্ন্যাসী ব্রহ্মচারীগণের ন্তায় অঙ্গে ভস্ম বা ধূলী লেপন এবং মস্তকে জট। রাখিতেন না। তিনি শুদ্ধ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকিতে ভাগ বসিতেন। তিনি আশ্রমের মধ্যে গুহ । নিৰ্ম্মাণ করাইয়। তন্মধ্যে যোগে নিমগ্ন থাকিতেন । সেই সময় তিনি ভারতীয়-ঐতিহাসিক পওহারী পান আহার, পূজা অৰ্চন ত্যাগ করিতেন এবং কুটীরের দ্বারও বন্ধ থাকিত। প্রতি একাদশী ও রামনবমী তিথিতে কুটীরের দ্বার উন্মুক্ত করিয়া সৰ্ব্বসাধারণকে দর্শন দিতেন । তৎপরে প্রীয় পনর বৎসর কুটীরের দ্বার আর উন্মুক্তই করিতেন না ১৮৮৮ খ্ৰীঃ অব্দে একবার তিনি দ্বার উন্মুক্ত করিয়া বাহির হন এবং এক মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন। এই উৎসবে ভারতের প্রায় সকল তীর্থ হইতে সাধু মহাত্মাগণ আগমন করিয়াছিলেন । ইহার পরে চিরতরে দ্বার রুদ্ধ করিয়াছিলেন, আর কখনও উন্মুক্ত করেন নাই । কিন্তু কখনও কখনও রুদ্ধদ্বার কুটীরে বসিয়৷ সদালাপ করিতেন । >ッおの &l:ーに不 Roび* (* ●歪R甘利 এই পদ্ধ মহাপুরুষ দেহত্যাগ করেন । তাহার মৃত্যুও একটী অদ্ভুত ঘটনা। উক্ত তারিখ প্রত্যুষে তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাত। এবং অfর ও কয়েকজন গ্রাম্য লোক আশ্রমে উপস্থিত ছিলেন, হঠাৎ তাহারা আশ্রমের দ্বিতল কুটীরের ছাদ হইতে অল্প অল্প ধূম নির্গত হইতেছে দেখিলেন, কিন্তু হোমের ধুম মনে করিয়। তাহার নিস্তব্ধ রহিলেন । অল্পক্ষণ পরে তাহারা দেখিতে পাইলেন যে, সমস্ত ছাদ হইতে মেঘের ন্তায় গাঢ় ধূমরাশি বাহির হইতেছে, তখন র্তাহারা উদ্বিগ্ন হইয়। বাহির হইতে পওহারী পাবাকে চিৎকার করিয়া ডাকিতে লাগিলেন; কিন্তু কোন