পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/১৭১

○>(? সংস্কৃত কলেজের গ্রন্থশালাধ্যক্ষের পদ লাভ করেন। ঐ কাজ করিতে করিতে তিনি অনেক গুলি গ্রন্থ রচনা করেন । তাহার চণ্ডকৌশিকী গ্রন্থের টীক। দীর্ঘকাল সংস্কৃতে এম্-এ পরীক্ষার্থীদের পাঠ্য ছিল । অনেক গুলি তন্ত্র শাস্ত্র সম্বন্ধে গ্রন্থও তিনি ও সম্পাদন করেন , তাহার অনুদিত মহানিৰ্ব্বণি তন্ত্র বিশেষ আদৃত হইয়াছিল । বৰ্দ্ধমান রাজবাট হইতে যে মহাভারতের বাঙ্গালা অনুবাদ প্রকাশিত হয়, তিনি ও তাহার অনু বাদ কদের অন্যতম ছিলেন । তিনি “ভাব প্রকাশ যন্ত্ৰালয়” ও “পুরাণ প্রকাশ” যন্ত্রালয় নামে মুদ্র যন্ত্র স্থাপন করিয়৷ বহু সংস্কৃত গ্রন্থ অনুবাদ ও প্রণয়ন করিয়া প্রকাশ করেন । “পরিদর্শক’ নামে এ কথানি বাঙ্গালা দৈনিক পত্রিক এবং একখানি বাঙ্গাল মাসিক পত্রিক ও তিনি কিছু কাল প্রকাশ করেন । পরবর্তী জীবনে তিনি তন্ত্র শাস্ত্রের আলোচনাতেই বিশেষ ভাবে আত্মনিয়োগ করেন এবং তন্ত্রশাস্ত্রানুযায়ী নানাবিধ সাধন করেন । ঐ সময়ে অনেক লোক তাহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করে। শেষজীবনে তিনি কুলাবধূতাচাৰ্য্য ও পুর্ণানন্দ তীর্থনাথ নামেও প্রসিদ্ধি লাভ করেন । সংস্কৃত কলেজে চাকুরী করিবার সময়ে তিনি মধ্যে মধ্যে অধ্যাপনা ও ভারতীয়-ঐতিহাসিক জগভান করিতেন । অধ্যপক রূপে ও তাহার বিশেষ স্থখ্যাতি ছিল । ১৩০৬ বঙ্গাব্দের চৈত্রমাসে ( ১৯০০ খ্ৰীঃ মার্চ ) তাহার (75t? 羽 ] জগন্মোহিনী দেবী—তিনি উড়িষ্যার রাজ। প্রতাপরুদ্রে র কন্ত । বিজয়নগরের রাজ। কৃষ্ণদেব রায় উড়িষ্য দেশ আক্রমণ করিলে, রাজ। প্রতাপরুদ্র গোদাবরী নদীর দক্ষিণস্থ সমুদয় প্রদেশ ও স্বীয় কণ্ঠীকে তাহার হস্তে প্রদান করিয়। সন্ধি স্থাপন করেন । রাণী জগন্মোহিনীর অন্ত নাম তুঙ্কা ছিল। বিবাহের পরে স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্ত হইয়।, তিনি কোডাপা জিলার অন্তর্গত কম্বম নামক স্থানে সন্ন; সিনীর ন্যায় জীবন যাপন করিয়াছিলেন । জগবন্ধু রায়—তাহার রচিত গ্রন্থের নাম ‘নারী না দেদী –পুরুষ না দানব । তাহার গ্রন্থের প্রতি পাদ্য বিষয় নারীর প্রতি সদ্ব্যবহার করিতে না শিখিলে দেশের উন্নতি হইলে না । জগভগন— রাজপুতানার মধ্যবর্তী প্রদেশে কাত্তি নামক ক্ষত্রিয় জাতির বাম ছিল। যশল্মীরপতি শালিবাহন ( ১১৬৭ – ৭২ খ্রী: ) রাজা হইয়াই উক্ত প্রদেশ আক্রমণ করেন । কাত্তিপতি জগভীন স্বদেশ রক্ষার্থ প্রাণপণ যত্ন করিয়াও কৃতকাৰ্য্য হইলেন না, রণস্থলেই তিনি শয়ন করিলেন । র্তাহার রাজ্য শালিবাহন অধিকার করিলেন ।