পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়সিংহ அ_க_ ( ১৭২৮ খ্ৰীঃ) তিনি “যন্ত্রসিংহ কারিকা’ নামক গ্রন্থ রচনা করেন । তিনি স্বীয় অভিজ্ঞতার সাহায্যে, জিয়াজ মোহাম্মদ শfহী’ নামে জ্যোতিষ শাস্ত্রের একখানি অঙ্ক পুস্তক সঙ্কলন করিয়া, তদানীন্তন দিল্লীর সম্রাট মোহাম্মদ শাহের নামে উৎসর্গ করিয়াছিলেন । যখন রাজ্যে মুখ ও শান্তি বিরাজ করে, তখন এক বিশাল রাজ্যের অধিপতির পক্ষে নিশ্চিন্ত মনে শাস্ত্রীলোচনা করা সম্ভবপর হয় । কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয় মহারাজ জয়সিংহের ভাগ্যে তাহ ঘটিয়া উঠে নাই । অসংখ্য বিপ্লব ও ষড়যন্ত্রের মধ্যে পতিত হইয়া ও র্তাহীকে এই সকল শাস্ত্রনুশীলনে লিপ্ত থাকিতে দেখা গিয়াছে। কি গভীব জ্ঞানানুরাগ, ! কি গভীর উদ্যম ও অধ্যবসায় ! দেশের তখন ভয়ানক তুরবস্ত । একদিকে দ্রুতগতিতে মুঘল রাজবংশের পতন অন্যদিকে মহারাষ্ট্র শক্তির উত্থান। ইহার ফলে নানা প্রকার সংঘর্মের উদ্ভব হইয়াছিল । দিল্লীর সম্রাটের কুটিল মন্ত্রী সৈয়দ ভ্ৰাতৃ যুগলের হস্ত হইতে সম্রাট ফিরক শিয়ারকে রক্ষা করিতে তিনি বিশেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু সম্রাটেরই কাপুরুষতাবশতঃ র্তাহার সমস্ত উদ্যম ব্যর্থ হইয়া যায় । ফিরক শিয়ার যখন জয়সিংহের কোন পরামর্শ গ্রহণ করি জীবনী-কোষ \ყ8\ყ লেন না, তখন তিনি বিরক্ত হইয়। স্বরাজ্যে প্রত্যাগমন করেন । ইহার ফল ইতিহাস পাঠক অবগত আছেন । দিল্লীর সম্রাট মোহাম্মদ শাহ অক্তি কৌশলে সৈয়দ ভ্ৰাতৃ যুগলকে বিনাশ করিয়া নিষ্কণ্টক হইলেন । জয়সিংহ এই সময়ে আগ্র ও মলিব প্রদেশদ্বয়ে সম্রাটের প্রতিনিধির পদে নিযুক্ত হইয়। ছিলেন। তিনি উচ্চপদে আরূঢ় হইয়াও স্বদেশ ও স্বজাতির কল্যাণ চিন্ত হইতে দূরে ছিলেন না । তাহারই বিশেষ চেষ্টীয় ‘জিজিয়া’ কর রহিত হয় । জাঠদিগের উন্নতির তিনি প্রতিবন্ধক হইয়াছিলেন । মহারাষ্ট্র নেতা বাজীরী ওকে মালবের সুবেদার পদে স্থাপন করিয়া, তাহীদের সহিত সদ্ভাব রক্ষা কবিয়ছিলেন । মহারাজ বিষণসিংহের দুই পুত্র জয়সিংহ ও বিজয়সিংহ । তাহারা দুই মা তার গর্ভজাত । বিজয়সিংহের জননী জয়সিংহের অভিষেক কালে পুত্রের প্রাণ নাশের ভয়ে পিত্ৰালয় কীচি বীর নগরে গমন করেন । পি জয়সিংহ বয় প্রাপ্ত হইলে, তাহীর জননী দিল্লীর সম্রাটের মন্ত্রী কমরুদ্দিনকে অর্থদ্বারা হস্তগত করিয়া, স্বীয় পুত্রের জন্ত অম্বর রাজ্যের সিংহাসন অধিকার করিতে প্রয়াসী হন । কিন্তু তাহার কৌশল পূৰ্ব্বেই অবগত হইয়া জয়সিংহ সর্দারগণের এক সভা আহবান করিলেন।