পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/৩১১

Q06. যুদ্ধ জাহাজ লইয়। পণ্ডিচেরীতে উপস্থিত হইলেন । এবং পরে (১৭৪৬ খ্রীঃ অন্ধ জাগঃ) মাদ্রাজের ইংরেজ কুঠ ও দুর্গ অধিকার করিলেন। ডুপ্লে পূৰ্ব্বে কর্ণাটের নবাবকে এইরূপ আভাষ দিয়াছিলেন যে, ঐ দুর্গট অধিকৃত হইলে, তাহাকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে । কিন্তু পাছে আবার নবাব, উহ। ইংরেজদিগকেই প্রত্যপণ করেন, এই আশঙ্কীয় তিনি উহা নবাবকে প্রদান করিতে ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন । ইহাতে ক্রুদ্ধ হইয়া নবাব ফরাসীদের কবল হইতে দুর্গটি অধিকার করিবার জন্ত, সৈন্য প্রেরণ করিলেন । কিন্তু উঠাতে কোনই ফল হয় নাই। বরঞ্চ নবাবের বৃহৎ বাহিনী প্রায় তাহার অৰ্দ্ধসংখ্যক ফরাসীপক্ষীয় সৈন্তের নিকট পরাজিত হওয়ায়, ইউরোপীয় জাতীদের মধ্যে, দেশীয় রাজাদের ক্ষমতা সম্বন্ধে যে উচ্চ ধারণা ছিল, তাহা সম্পূর্ণ দূর হইয়া গেল। ইহার কয়েক বৎসর পরে ইউরোপে ইংরেজ ও ফরাসীদের মধ্যে সন্ধি স্থাপিত হওয়ায়, সন্ধির সর্বানুসারে মাদ্রাজ ইংরেজদিগকে প্রত্যপিত श्हेग (२१8२) । এই ঘটনার श्रूरी हे:प्वप्खद्धा भाजखि 3 পণ্ডিচেরী আক্রমণ করিয়া, বিফল মনোরথ হন । পূৰ্ব্বোক্ত সন্ধির ফলে ভারতেও ইংরেজ ও ফরাণীদের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপিত হয় । তখন উভয় পক্ষেরই ভারতীয়-ঐতিহাসিক ভুল্পে অনেক সৈন্য কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিল। ঐ অতিরিক্ত বাহিনী পোষণ করা অত্যন্ত ব্যয় সাধ্য বোধ হওয়ায়, উভয় পক্ষই অনুভব করিতেছিলেন যে, দেশীয় রাজীদের প্রয়োজন মত র্তাহাদিগকে সৈন্ত দিয়া সাহায্য করিতে পাfরলে, ঐ সৈন্ত পোষণের ব্যয় অনেকটা লাঘব হইতে পারে । সৌভাগ্য ক্রমে সুযোগও ঘটিয়া গেল এবং ফরাসী ও ইংরেজ উভয়েই দক্ষিণাত্যের বিবদমান দুই পক্ষে যোগ দিয়া, নিজের লাভবান হইতে লাগিলেন । এই সময় হইতে, ইউরোপে সন্ধি স্থাপিত হইলেও, ভারতে ইংরেজ ও ফরাসীদের মধ্যে বিবাদ ক্রমশই বাড়িতে লাগিল । [চীদ সাহেব (২), অনেয়ারউদ্দিন খা (১৯ • পৃঃ) ও মোহাম্মদ আলি কর্ণাটের নবাব, এই নামগুলি দ্রষ্টব্য)। ডুপ্লে এই বিবাদকালে কণাটের নবাব দোস্ত আলির জামাত। চাদ সাহেব ও দক্ষিণাত্যের মুবাদার নিজাম-উল-মুলকের দৌহিত্র মুজাফফর জঙ্গের পক্ষ অবলম্বন করিয়া, তাহদের প্রতিদ্বন্দ্বী যথাক্রমে আনোয়ার-উদ্দিন র্থ ও নাদির জঙ্গএর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিণ চালনা করেন। দীর্ঘকাল বিগ্ৰহাদি চলিবার পর ডুপ্লের কুটনীতি ও রণকৌশলের ফলে, নিজাম-উল-মুলক-এর দৌহিত্র মুজাফফর জঙ্গ দাক্ষিণাত্যের মুবাদারের পদ অধিকার করিলেন । ইহাতে দাক্ষিণাত্যে ফরাসীদের প্রভাব ও ক্ষমত।